প্রতারণা করে গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাৎকারী ভূয়া এনজিও’র মূলহোতা এবং ম্যানেজারসহ ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ৫ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কাম্পের সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, জেলার নাচোল খলশি গ্রামের হাজী মোঃ জাকারিয়ার ছেলে মূলহোতা মোঃ ইব্রাহিম (৩৭), গোদাগাড়ীর জাহানাবাদ গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ রায়হান উদ্দিন (৩০), নাচোলের গাছপুকুরের আব্দুল কুদ্দুস এর ছেলে ক্যাশিয়ার মোঃ আতিকুর রহমান (২৫), মাছকর্মী মুরাদপুরের ইসরাইল হোসেন এর ছেলে মোঃ ফরহাদ হোসেন (৩১) ও আব্দুল হানিফ এর ছেলে মোঃ শাহ আলম (২৪) এবং খেসবা’র মতিউর রহমানের ছেলে মোঃ রেজাউল করিম (২৪)। র্যাবের প্রেসনোটে জানানো হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল ২৪ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল পৌরসভার মাষ্টার পাড়ায় মাইনুল ইসলাম এর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে বিসিফ এর অফিসে। এসময় বিসিফ সংস্থায় মানুষের জমাকৃত কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ মোঃ ইব্রাহিম, রায়হান উদ্দিন, আতিকুর রহমান, মোঃ ফরহাদ হোসেন, শাহ আলম ও রেজাউল করিম কে ভূয়া পাশ বই-৫০০ পিচ, ভূয়া সীল-১০টি, চেক/লোন রেজিষ্টার-১৪টি, ব্লাংক চেক-২০০টি, আইডি কার্ড-৪টি, মোবাইল ফোন-৭টিসহ গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় জেলার নাচোল থানায় মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনা চক্রের সাথে সংঘবদ্ধভাবে গ্রামের সহজ সরল সাধারণ মানুষের টাকা গ্রহণ করে অধিক মুনাফা দেয়ার লোভ দেখিয়ে বিসিফ নামে একটি ভূয়া এনজিও প্রতিষ্ঠা করে। উক্ত এনজিওতে বিভিন্ন গ্রাহককে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে গরীব অসহায় লোকদের টাকা বিনিয়োগ এবং টাকা ঋণ নেয়ার জন্য উস্কানি প্রদান করে। অসহায় লোকজন তাদের উস্কানিতে টাকা বিনিয়োগ করে এবং তাদের এনজিও হতে ফাঁকা চেক জমার মাধ্যমে ঋণ উত্তোলন করলে এনজিও কর্মীরা ব্লাংক চেক ব্লাক মেইল এর মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা এবং গ্রাহকের জমাকৃত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। অসংখ্য ভূক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব চাঁপাইনবাগঞ্জের চৌকষ গোয়েন্দা দল দীর্ঘদিন ধরে উক্ত বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে ২৪ জানুয়ারি বিসিফ এর মূলহোতা ও ম্যানেজারসহ প্রতারক চক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।