শুক্রবার দিবাগত রাত ও শনিবার ভোর রাতে ব্যাপক ঝড়ে পড়েছে জেলার অনেক বাগানের আম। ঝড়ে পড়া এসব আম কুড়িয়ে বাজারে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা। সরজমিনে দেখা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ১০ টাকায় ব্যাগ ভর্তি আম পাওয়া যাচ্ছে। শনিবার উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশন বাজার, আম বাজার এলাকায় ২ থেকে ৫ টা কেজি দরে আমগুলো বিক্রি করছেন পাইকাররা। এছাড়াও ভালো মানের আমগুলো ৭ থেকে ১০টাকা কেজিতে ভর্তি হচ্ছে ব্যাগ।
গোমস্তাপুর উপজেলার গণমাধ্যম কর্মী এমরান বাবু জানান, শুক্রবার (২০ মে) দিবাগত রাত থেকে গোমস্তাপুর উপজেলার প্রায় সব জায়গায় ঝড়ো হওয়া শুরু হয়। তবে ভোররাতে ভারি বৃষ্টিপাত হয়। ফলে বাগানের গাছে থাকা অনেক ঝড়ে পড়ে যায়। ঝড়ে পড়া আমগুলো বাজারে বিক্রি হচ্ছে। রেলস্টেশন বাজারে আম বিক্রি করা শাহিদুল ইসলাম বলেন, রাতে ঝড়হওয়াসহ ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে বাগানের অনেক আম ঝড়ে পড়ে গেছে। ঝড়ে পড়া আমগুলো ২ থেকে ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এ সব আম কিনে গৃহিণীরা আমের আচারের মতো কয়েক পদের রেসিপি বানাবে। তাই এসব আম বিক্রি হচ্ছে বেশি। ভালো মানের ফজলি আশ্বিনা আর ক্ষিরাপাত আমগুলো ৭ থেকে ১০টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন মাজহারুল।
তিনি বলেন, ভালো আমগুলো টক শস তৈরীতে কাজে লাগছে। এখানে বিক্রির পর অবশিষ্ট আমগুলো ঢাকাসহ বিভিন্ন কারখানায় চলে যায়। তিনি আরও বলেন, হালকা দাগি, আমের গায়ে আচড় লাগা আমগুলো প্রায় ২ থেকে ৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ২ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি আম কিনলেই নিমিষেই ব্যাগ ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। ভালোমানের আমগুলো একটু বেশি দরেই বিক্রি হচ্ছে। গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকতা তানভির আহমেদ সরকার জানান, গোমস্তাপুরে ঝড়োহওয়াসহ ভারি বৃষ্টি হয়েছে। উপজেলায় ৩০ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ মৌসুমে গোমস্তাপুর উপজেলায় ৪ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ১৩৫টি আম গাছ চাষাবাদ করা হচ্ছে। উপজেলায় সবজাতের আমের মধ্যে আশ্বিনা আমের চাষ বেশি হচ্ছে। এখানে ১ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে ৯২ হাজার ২৫০টি আম গাছে আমের ফলন হয়েছে।