1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
চলে গেলেন লেখক-গবেষক-শিশু সংগঠক-সাংসদ-শহীদজায়া পান্না কায়সার - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী রাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রত্যাহার চাঁপাইনবাবগঞ্জে কারফিউ চলমান ॥ সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল শিক্ষার্থীদের জন্য ৮ বার্তা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পূর্বের নিয়মেই কারফিউ বহাল নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো আরও এক জঙ্গি গ্রেফতার-অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার নরসিংদীতে জেল পলাতক ৪৪৯ কয়েদির আত্মসমর্পণ সিলেটে সাংবাদিক তুরাব নিহতের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নয়-আমরা আদিবাসী’-নেত্রকোনায় আদীবাসী নেতৃবৃন্দ শুক্র ও শনিবার ঢাকাসহ ৪ জেলায় কারফিউ শিথিল ৯ ঘণ্টা

চলে গেলেন লেখক-গবেষক-শিশু সংগঠক-সাংসদ-শহীদজায়া পান্না কায়সার

দর্পণ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৩২ বার পঠিত

চলে গেলেন লেখক-গবেষক-শিশু সংগঠক-সাংসদ-শহীদজায়া পান্না কায়সার

ইহোলোকের সকল মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন লেখক, গবেষক, শিশু সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য, শহীদজায়া পান্না কায়সার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ছিলেন তিনি। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পান্না কায়সার ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রী। তিনি অভিনেত্রী শমী কায়সারের মা। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ছিলেন তিনি। শিশু কিশোরদের সংগঠন খেলাঘরের সঙ্গে আজীবন সক্রিয় ছিলেন পান্না কায়সার। ১৯৭৩ সাল থেকে ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য। আর ১৯৯০ সালে এ সংগঠনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আসেন। খেলাঘরের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রণয় সাহা বলেন, সকালে উনি বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, শুক্রবার সকালে খেলাঘরের কেন্দ্রীয় কমিটির সভা ছিল, পান্না কায়সার নিজেই সভা ডেকেছিলেন। এখানে সারা দেশ থেকে খেলাঘরের নেতৃবৃন্দ এসেছেন। সবাইকে ডেকে উনিই চলে গেলেন অনন্তলোকে। ১৯৫০ সালের ২৫ মে পান্না কায়সারের জন্ম। তার পারিবারিক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী। কলেজে পড়ার সময় ঢাকায় এক উচ্চবিত্ত পরিবারে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির অমানবিক পরিবেশ তার জীবন দুর্বিষহ করে তোলে। সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে ফের পড়ালেখায় মন দেন পান্না। এইচএসসি পাস করে কুমিল্লা মহিলা কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি নেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন বাংলায় মাস্টার্স করতে। সে সময়ই পরিচয় হয় তরুণ বুদ্ধিজীবী, লেখক শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের উত্তাল এক দিনে কারফিউয়ের মধ্যে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু আড়াই বছরের মাথায় মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে স্বামীকে হারান পান্না কায়সার। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর কিছু সদস্য শহীদুল্লা কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তার আর ফেরা হয়নি। এরপর থেকে পান্না কায়সার একাই মানুষ করেছেন তার দুই সন্তান শমী কায়সার এবং অমিতাভ কায়সারকে। শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে, সেই সঙ্গে করে গেছেন লেখালেখি। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে; মুক্তি; নীলিমায় নীল; হৃদয়ে বাংলাদেশ; মানুষ; অন্য কোনখানে; তুমি কি কেবলি ছবি; রাসেলের যুদ্ধযাত্রা; দাঁড়িয়ে আছ গানের ওপারে; আমি; না পান্না না চুনি; অন্য রকম ভালোবাসা ও সুখ। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদানের জন্য ২০২১ সালে পান্না কায়সারকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ জানান, জুমার নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে পান্না কায়সারের জানাজা হয়েছে। আসরের পর ইস্কাটনে তার বাড়ির কাছে আরেক দফা জানাজা হবে। এরপর মরদেহ বারডেম হাসপাতালে রাখা হবে। রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার কফিন রাখা হবে সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আরেক দফা জানাজা হবে। পরে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শায়িত হবেন শহীদজায়া পান্না কায়সার।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!