প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হুইটলি। বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে গিয়ে সরকার প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। এর আগে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং। বৈঠকে বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত জরুরি ছিল বলে উল্লেখ করে তিনি। বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ জানিয়েছেন, সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয়সহ বৈশ্বিক বিষয়ে মতবিনিময় হয়েছে। অন্যদিকে, বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হুইটলি। পরে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সেখানে হুইটলি বলেন, ‘বৈঠকে ইইউ-বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে আমাদের মধ্যে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন, আমাদের অনেকগুলো এজেন্ডা রয়েছে। শিগগির নতুন পার্টনারশিপ কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্টে (পিসিএ) সই করতে যাচ্ছি আমরা। এটি অনেক ব্যাপক ও নতুন প্রজন্মের চুক্তি। ইইউ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাতসহ বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও আমাদের কথা হয়েছে। এ বিষয়গুলোকে আমরা অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকটও উঠে এসেছে। এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে। আগামীতেও বহু বছর ধরে এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, আমাদের বৈঠক ছিল খুবই ফলপ্রসূ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি। টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বিভিন্ন দেশের সরকার, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হচ্ছে।