প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন চীনের আন্তর্জাতিক বিভাগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপমন্ত্রী মিস. সুন হাইয়ানের নেতৃত্বাধীন চীনা প্রতিনিধিদল। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সাক্ষাৎ করতে এসে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চীনের আন্তর্জাতিক বিভাগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপমন্ত্রী ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রশাসক আচিম স্টেইনার। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেন, পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় ইউএনডিপির পক্ষ থেকে আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক উন্নয়ন যাত্রা এবং জাতিকে আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা আপনার প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করছি। স্টেইনার বলেন, ‘ইউএনডিপির নির্বাহী বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশের নতুন ভূমিকার জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি একইভাবে আনন্দিত। এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি শুধু আপনার দেশের উন্নয়ন অর্জনের স্বীকৃতিই নয় বরং বাংলাদেশের জন্য বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা গঠনের জন্য একটি অমূল্য সুযোগও উপস্থাপন করে। তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্পের অর্জনসহ অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং স্থিতিস্থাপক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা অর্জনে আপনার (শেখ হাসিনা) সরকারকে সমর্থন করার জন্য ইউএনডিপি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে। বর্তমান সরকার চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর চীনের পক্ষ থেকে এটিই প্রথম উচ্চপর্যায়ের কোনো সফর। পাশাপাশি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পর বিদেশি কোনো প্রতিনিধির এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। এর আগে বর্তমান সরকার গঠনের পর গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠিয়ে অভিনন্দন জানান চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিং পিং। এবার চীনের প্রেসিডেন্ট এবং সিপিসির সাধারণ সম্পাদক সি জিং পিং তার প্রতিনিধিকে ঢাকায় পাঠিয়ে বাংলাদেশের সরকার এবং ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯৯টি আসনের ফলাফলে ২২৩টিতে জয় পায় আওয়ামীলীগ। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে। আর ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপর ৯ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরদিন ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। একদিন পর ১১ জানুয়ারি শপথ নেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।