চালুর একদিন পর ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনে গরু পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে। রেল কর্তৃপক্ষের কাঙ্খিত কোরবানী পশু বুকিং না হওয়ায় ট্রেনটি বন্ধ করেছে রেল বিভাগ। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার শহিদুল আলম।
শহিদুল আলম বলেন, বুধবার (৬ জুলাই) চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে স্বল্প ভাড়ায় গরু পরিবহনের জন্য ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়েছিল। কাঙ্খিত গরু বুকিং না হওয়ায় ট্রেনটি বন্ধ করা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের রেলওয়ের উর্ধতন কর্মকর্তা এ তথ্য আমাদের নিশ্চিত করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রথমবারের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২০২১ সালের ১৭ জুলাই ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন চালু হয়। ট্রেনটি ১৯ জুলাই পর্যন্ত গরু পরিবহন করে। ৩ দিন ধরে চলা এ ট্রেনটিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কোরবানি যোগ্য পশু পরিবহন করা হয় ৭৮টি। তা থেকে আয় হয় ৪৬ হাজার ১৩৭ টাকা। দ্বিতীয় বারের মতো-৬ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ১৮টি গরু ও ৫টি ছাগল ঢাকায় পরিবহন করা হয়েছে। এ সবগুলো পশু একজনই বুকিং করেছিলেন। ২৩ পশু পরিবহন করে রেলের আয় হয়েছে ১১ হাজার ২৩৯ টাকা।
ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনে গরু পরিবহন করতে অনিহা খামারীদের। খামারিরা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় গরু পৌঁছলেও, হাটে গরু গুলো পৌঁছানো হচ্ছে, কোরবানী পশু গুলোকে হাটে নিতে কয়েকবার গাড়িতে উঠানামা করতে হয়। এতে করে গরুরও কষ্ট হয়, খামারিদের ভোগান্তি ও খরচ বাড়ে। সাইফুল নামের এক গরুর খামারি বলেন, ট্রেনে গরু উঠাতে কিংবা নামাতে ভোগান্তি নাই। কিন্তু ট্রেনে গরু লোড-আনলোড করতে ভোগান্তি বাড়ে। ট্রেনতো গরুগুলোকে স্টেশনে নামিয়ে দিবে, হাটে তো নিয়ে যেতে হবে। আলাদা একটা খরচ হয়। কামাল নামের আরেক খামারি বলেন; সরকার ঢাকায় কম খরচে ট্রেনে গরু পরিবহন করছে। রেলস্টেশনে গরুগুলো নামানোর পর, সরকারি বিআরটিসি ট্রাকে যদি হাটে গরু গুলো কম ভাড়ায় পৌঁছিয়ে দেয়, তাহলে গরু গুলো ট্রেনে পরিবহন করা যেত। সরকার এমন উদ্যোগ নিলে, অনেক খামারি ক্যাটল ট্রেনে গরু পরিবহন করবে।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন মাষ্টর শহিদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে আমাদের রেলওয়ের উর্ধতন কর্মকর্তা কিছু বলেনি। ঢাকায় রেলস্টেশনে গরুগুলো নামানোর পর যদি, বিআরটিসি ট্রাকে গরু পরিবহন করে খামারিদের ভালো হবে। ট্রেনেও ব্যাপক গরু যাবে।