চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২০১২ সালের চাঞ্চাল্যকর সালমান হত্যা মামলার প্রধান আসামী মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জঙ্গী সানোয়ারসহ ৮জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। উপজেলার ফতেপুর ইউপির খোলসী চানপাড়া গ্রামের মৃত এরশাদ আলীর ছেলে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জঙ্গী সানোয়ার। নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ মিন্টু রহমান জানান, ২০১২সালে জঙ্গী সংগঠন হরকাতুল জিহাদের ঢাকার কেন্দ্রীয় আমীরের পদের লোভে জঙ্গী সানোয়ার নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউপির খোলসী চানপাড়া গ্রামে তার বোনের স্বামীকে জবাই করে মাথা বিচ্ছিন্ন করে গোমস্তাপুরের মহানন্দা নদীর ধারে পুঁতে রাখে। নাচোল থানা পুলিশ মাথাবিহীন লাশের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ তার স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করে। তখন পুলিশ তার বোনের স্বীকারোক্তির সূত্র ধরে জঙ্গী সানোয়ারকে আটক করে বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করে। ২০১২সালে জঙ্গী সানোয়ারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। সালমান হত্যা মামলায় জঙ্গী সানোয়ারের মৃত্যুদন্ড প্রদান করে বিজ্ঞ আদালত। পরে সানোয়ার জামিনে মুক্ত হয়ে তার নাম পাল্টিয়ে আব্দুল্লাহ নাম ধারণ করে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা বাজার এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত রাজমিস্ত্রীর কাজ করে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাচোল থানা পুলিশ নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানা এলাকা থেকে গত রবিবার রাতে সানোয়ারকে আটক করতে সক্ষম হন। জানা যায়, সানোয়ারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সোমবার তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে পর্ণগ্রাফী আইনে র্যাপিড এ্যকশন ব্যাটেলিয়ন(র্যাব) অভিযান চালিয়ে উপজেলার রাজবাড়ি মোহাম্মদপুর এলাকার আবুল কাশিমের ছেলে তুষার আলী(২৮), একই গ্রামের নেজামুদ্দীনের ছেলে রতন আলী(২২), মৃত খোবিরুদ্দিনের ছেলে রুবেল(৩৫), সাহাবুদ্দীনের ছেলে ফিরোজ মাহমুদ(৩০) ও মজিবুর রহমানের ছেলে রুবের মিয়া(৩০)কে ও নাচোল থানাপুলিশ রাজশাহী জেলার মোহনপুর থানার গুচ্ছা গ্রামের আহম্মদ প্রামানিকের ছেলে গাঁজা ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন(৪২)কে ৫০০গ্রাম গাঁজাসহ নেজামপুর ইউনিয়নের মালীপাড়া এলাকার দিঘিপাড়া গ্রাম থেকে আটক করে সোমবার তাদেরেকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।