চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে সরকারি গাছ কেটে ফেলেছে হারুন নামে এক ব্যক্তি। তার গাছ কাটার খবর বিভিন্ন মাধ্যমে পেয়ে সাংবাদিকগণ তথ্য সংগ্রহে গিয়ে এর সত্যতা পেয়েছে। তবে গাছ কাটায় অভিযুক্ত হারুনুর রশিদ সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় কতিপয় দুইজন সাংবাদিককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের রতনপুর খাড়ি সংলগ্ন সাবেক সেনা সদস্য হারুনুর রশিদের জমির পাশে থাকা ইউক্যালিপটাশ গাছ কাটা হয়েছে। এতে দেখা যায় প্রায় ১৫ টি গাছ কাটা অবস্থায় জমিতে পড়ে আছে। তবে কয়েকটি গাছ সরানো হয়েছে বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। হারুনুর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার পিয়ারা বাগানের পাশে লাগানো গাছগুলো বাগানের ক্ষতিকারক মনে হওয়ায় কেটে ফেলেছি। গাছ কাটার ব্যাপারে কারো অনুমতি নিয়েছেন কি না? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, কারো অনুমতি নেয়নি। তবে গাছের ডালপালা যেহেতু আমার পিয়ারা বাগানের ক্ষতি করছে। সেহেতু আমি বিএমডিএ অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাকে ডাল কাটার অনুমতি দিয়েছিলেন। তবে তিনি কোন কর্মকর্তার নাম জানাতে পারেননি। এছাড়া তিনি গাছ কাটার বিষয়ে তার অপরাধ স্বীকার করেন। এসময় তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক এসেছিলেন আমার কাছে। তারা রিপোর্ট করবে না বলে আমার কাছে কতিপয় সাংবাদিক সাড়ে ৪ হাজার টাকা নিয়েছে। তিনি এ প্রতিবেদককেও টাকা দায়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। গোমস্তাপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সরজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জেনেছি। এগাছগুলো বন বিভাগের নয়। তবে এ গাছগুলো বিএমডিএ এর আওতাধীন। বিএমডিএ এর গোমস্তাপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গাছকাটার বিষয়টি আমি জেনেছি। গাছগুলো বিএমডিএ এর হলে গাছ কাটার বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।