1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
প্রতিবন্ধী ছেলের পর একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়ে বিপাকে দিনমজুর আনারুল - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পানিবণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে নীরব থাকার দিন শেষ-উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাথান ঘর লুটপাট করে পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ ॥ থানায় অভিযোগ রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে সরকারের ২ কমিটি ট্যাফিক ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে-আসিফ মাহমুদ সরকারকে একটি ভালো নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে হবে-শামসুজ্জামান দুদু রামেবি’র উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ বিষয়ে রাজশাহীর গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় রহনপুর স্টেশন ব্যবসায়ীদের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় জয়পুরহাটে আবারও বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার চেষ্টা মেট্রোরেলে রেকর্ড: ১৯ দিনেই ছাড়ালো ৬ মাসের আয় রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু

প্রতিবন্ধী ছেলের পর একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়ে বিপাকে দিনমজুর আনারুল

মোঃ নাদিম হোসেন-নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৯০ বার পঠিত

প্রতিবন্ধী ছেলের পর একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়ে বিপাকে দিনমজুর আনারুল

ফুটফুটে তিন সন্তানের জন্ম দিয়ে পরিবারে আনন্দের বিপরীতে তাদের লালন-পালন ও চিকিৎসায় অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে বিপাকে পড়েছেন অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করে কোনক্রমে সংসার চালানো আনারুল ইসলামের। রয়েছে ২৪ ও ২০ বছর বয়সী দুই ছেলে। দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলে আবার শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারনে কর্মক্ষমহীন। এরই মাঝে আনারুল-খাইরুন নেসা দম্পতির ঘর আলো করে একসঙ্গে তিন কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। ফুটফুটে তিন সন্তানের জন্ম দিয়ে পরিবারে আনন্দের আমেজের বিপরীতে তাদের লালন-পালন ও চিকিৎসায় অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে বিপাকে পড়েছেন এই পরিবার। একসাথে জন্ম নেয়া তিন সন্তানের বাবা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে আনারুল ইসলাম (৫১)। তার স্ত্রী মোসা. খাইরুন নেসা (৪২) একসঙ্গে তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে।

গত ০৩ অক্টোবর রাতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে তিনি সন্তান প্রসব করেন। সন্তান মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় ও জন্মদানের পর বিপুল পরিমাণ অর্থ চিকিৎসা খরচ হওয়ায় তিন শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে পরিবারটি। একদিকে দিনমজুর বাবার সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয়, অন্যদিকে একসাথে তিন সন্তানের জন্ম। এনিয়ে বিপাকে পড়েছেন আনারুল ইসলাম। বর্তমানে তিন সন্তানকে নিয়ে তাদের মা খাইরুন নেসা স্বামীর বাড়িতেই রয়েছেন। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তারা তিন সন্তানের চিকিৎসা শেষে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। সেখানে শিশুর ঠান্ডাজনিত চিকিৎসা করিয়েছেন। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন ১০ দিন। সেখানে খরচ হয়েছে অন্তত ১০ হাজার টাকা। একসাথে তিন সন্তানের ওষুধ কিনতে গিয়ে বিভিন্ন মানুষজনের কাছে ধারদেনা করতে হচ্ছে দিনমজুর আনারুল ইসলামকে। আনারুলের স্ত্রী খাইরুন নেসা বলেন, তিন মাস হয়েছে সন্তান জন্মদানের। জেলা হাসপাতালেরই নরমাল ডেলিভারি হওয়াতে কিছুটা সাশ্রয় হয়েছে।

তিনটি বাচ্চা হওয়াতে ঠিকমতো দুধ পাচ্ছে না। টাকার অভাবে বাইরের কেনা দুধও খাওয়াতে পারছি না। আমরা এমন গরিব অসহায় তারপরেও এখনও কেউ কোন সহায়তা দেয়নি। কেউ একটু সহযোগিতা করলে খুব উপকার হতো। দিনমজুর আনারুল ইসলাম জানান, আমার কোন জমিজমা নেই। অন্যের জমিতে কৃষিকাজ ও মাটি কাটার কাজ করে সংসার চালায়। এদিকে বড় এক ছেলে প্রতিবন্ধী। কাজ করতে পারে না। ঠিকমতো সংসারই চালাতে পারি না। এরমধ্যে আরও তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়ে বিপদে পড়ে গেছি। তাদের জন্য ঠিকমতো খাবার ও চিকিৎসা-ওষুধের ব্যবস্থা করতে পারছি না। ১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে ও ওষুধ কিনতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। খাইরুন নেসার ছোট বোন মোসা. ভাদুরী খাতুন বলেন, একসঙ্গে জন্ম নেয়া তিন মেয়ের নাম রাখা হয়েছে মুরশিদা খাতুন, মাসুমা খাতুন, শামিমা আক্তার। কোন না কোন মেয়ে যেকোন সময় কাঁদছে, তাই আরও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। তাই আমাকে তাদের বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. মাহফুজ রায়হান বলেন, কয়েকদিন আগে নিউমোনিয়া নিয়ে একসঙ্গে তিন সন্তান জন্ম দেয়া জননী হাসপাতালে ভর্তি হয়। তিন সন্তানের মধ্যে একজনের অবস্থা ছিল খুবই জটিল। কিন্তু এখন তারা চিকিৎসা শেষে মোটামুটি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছে। তিন শিশুকে দৈনিক প্রায় ২৫০০ টাকার করে ওষুধপত্র লেগেছে। যা হাসপাতাল থেকেই সরবরাহ করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রওশন আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। পরিবারটি সদর উপজেলায় সাহায্যের আবেদন করলে খোঁজ-খবর নিয়ে আর্থিক সহায়তা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!