চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ বছরের শিশু মাসরুফাকে শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় তার নানার প্রতিবেশী আব্দুল খালেক (৪২) কে আমৃত্যু সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ রবিউল ইসলাম আসামীর উপস্থি’তিতে রায় ঘোষণা করেন। মাসরুফা শিবগঞ্জের সাবেক লাভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে। সে সদর উপজেলার কুথনিপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমানের নাতনি। খালেক কুথনিপাড়া গ্রামেরই মৃত ওসমান আলীর ছেলে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম বলেন, মায়ের সাথে নানা জিয়াউরের বাড়ি যায় মাসরুফা। এর পর ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে নানাবাড়ির সামনে শিশুদের সাথে খেলার সময় নিখোঁজ হয় সে। তবে ওইদিন আর তার খোঁজ মেলেনি। পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে নানার প্রতিবেশি কামরুলের বাড়ির সামনে মাসরুফার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওইদিন সদর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলা করে শিশুর পিতা।
মামলার তদন্তে ও আসামীর ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে জানা যায়, পুলিশের তদন্তে প্রাপ্ত আসামী নানার অপর প্রতিবেশী খালেক নানা জিয়াউর ও নানী এমেলির সাথে পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁদের নাতনি মাসরুফাকে একা পেয়ে কৌশলে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে সে মাসরুফাকে হত্যা করে মরদেহ বস্তায় ভরে বাড়ির গোয়ালঘরে লুকিয়ে রাখে। পরে পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়লে রাতে সে মরদেহ বের করে অপর প্রতিবেশী কামরুলের বাড়ির সামনে ফেলে রাখে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার পরিদর্শক কবির হোসেন ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারী খালেককে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে।