সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দুই অভিযোগ-চাঁদাবাজি আর মানহানি। সাংবাদিকদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এ দুই হাতিয়ার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনি এক হয়রানিমূলক মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন সাংবাদিক টুটুল রবিউল ও রমজান আলী। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজশাহীর তৎকালীন সিপাহী কামরুজ্জামানের করা মামলায় দীর্ঘ ১ যুগ পর দুই সাংবাদিককে খালাস প্রদান করেন রাজশাহী মহানগর যুগ্ম মহানগর-২ এর বিচারক লুনা ফেরদৌস।
খালাস প্রাপ্ত সাংবাদিক টুটুল রবিউল জানান, ২০১২ সালের জুন মাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজশাহীর এক সিপাহীর নানান অপকর্ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার পর প্রতিবাদ দেয়ার নাম করে তাকেসহ অপর সাংবাদিক রমজানকে ডেকে নিয়ে র্যাব দিয়ে ধরিয়ে দেয় অপর সিপাহী কামরুজ্জামান। পরে ২৬ জুন ২০১২ তারিখে রাজশাহী মহানগরের বোয়ালিয়া থানায় তিন হাজার টাকার চাঁদাবাজীর মামলা করে কামরুজ্জামান। সে মামলায় মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খালাস প্রদান করেন যুগ্ম মহানগর ও দায়রা জজ-২য় আদালতের বিচারক লুনা ফেরদৌস। সাংবাদিকদের পক্ষের আইনজীবি বেনজীর আহমেদ জানান, মামলাটি মিথ্যা ও হয়রানিমুলক ছিল মর্মে প্রমান করতে সক্ষম হয়েছি। তাই দুই সিনিয়র সাংবাদিক রমজান ও রবিউলকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
বর্তমানে সাংবাদিক টুটুল রবিউল ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকের বিজনেস বাংলাদেশ এবং ডেইলি বাংলাদেশ আপডেট পত্রিকার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। অপর সাংবাদিক রমজান আলী দৈনিক সোনালী বার্তা এবং ডেইলী মর্ণিং অবজারভার এর রাজশাহী ব্যুরো হিসেবে কর্মরত আছেন।