চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৫৪৮ শতাধিক ঈদগাহে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জেলার প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে। শহরের ফকিরপাড়া, খালঘাট ও উপজেলা মডেল মসজিদেও জেলায় ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
পুরাতন স্টেডিয়ামে ও খালঘাট ঈদগাহে সকাল ৭ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা মডেল মসজিদে ঈদের জামাত সকাল সোয়া ৭টায় এবং ফকিরপাড়া ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সম্পদ পশুর চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষনের আহবান জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনর সুত্র জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে ১৮৩টি শিবগঞ্জ উপজেলায় ১৫৯টি, নাচোল উপজেলায় ৬১টি, গোমস্তাপুরে ১১৬টি, ভোলাহাট উপজেলায় ২৯টি ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া কিছু অস্থায়ী ঈদগাহে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সদর উপজেলার ফিল্ড সুপার ভাইজার মোঃ শরিফুল ইসলাম শনিবার দুপুরে জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৫৩৮টি তালিকা ভুক্ত ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া কিছু অস্থায়ী ঈদগাহে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জেলা তথ্য অফিস এ ব্যাপারে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছে। চামড়া সংরক্ষনে লিফলেট বিতরণ ও জেলার ৫টি মডেল মসজিদসহ অন্যান্য মসজিদে জুম্মার খুতবায় আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার প্রধান ঈদের নামাজ জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে এবং খালঘাট ঈদগাহে সকাল ৭ টায় অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, উপজেলা মডেল মসজিদে ঈদের জামাত সকাল সোয়া ৭টায় এবং জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ফকির পাড়া ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া জনিত কারণে কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে, একই সময়ে কোর্ট জামে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার প্রধান ঈদের নামাজ জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে সকাল ৭ টায় অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ফকির পাড়া ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল মসজিদে ঈদের নামাজ সোয়া ৭টায়। আবহাওয়া জনিত কারণে কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে, একই সময়ে কোর্ট জামে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে, কোরবানীর পশুর চামড়া জাতীয় সম্পদ। জেলার সকল কোরবানী দাতাকে এ সম্পদ সংরক্ষন করতে হবে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় মনিটরিং করা হবে। তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে এবং ব্যবসায়ীকভাবে চামড়া সংরক্ষন করতে হবে। কোনভাবেই যেন চামড়া নষ্ট না হয়। গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়ার কাচা চামড়ায় প্রয়োজনীয় লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ এবং সুষ্ঠুভাবে ঈদের নামাজ ও কোরবানী সম্পন্ন করার জন্য জেলাবাসীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান।