নওগাঁর নিয়ামতপুরে পারিবারিক কলহের জেরে মাসুমা খাতুন (১২) নামে এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার গয়েশপুর (মধ্যপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার সকাল ১০টায় নিহত মাসুমা খাতুনের বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নিহত মাসুমা খাতুন উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর (মধ্যপাড়া) গ্রামের এমদাদুল হকের মেয়ে। এজাহার সূত্রে জানা যায়, এমদাদুল হক ও প্রতিবেশি আনারুল ইসলামের মধ্যে কয়েক মাস ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। গত রবিবার বিকেলে মাসুমা প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে আসে। এ সময় পাশের বাড়ির আনারুল ইসলামের বাড়িতে আমার মেয়ে প্রবেশ করে আর বাড়ির বাহিরে আসে নি। আমার স্ত্রী মেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে, সন্ধ্যায় আমার নিকট ফোন দেয়। আমি চার্জার চালিত অটোভ্যান গাড়ি চালায়। বিষয়টি অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বাড়িতে চলে আসি। এরপর আমি সহ আমার চাচাতো ভাই অনেক খোঁজাখুঁজি করার এক পর্যায়ে জনৈক আশরাফুল ইসলামের বসত বাড়ির পাঁকা রাস্তার পাশে জঙ্গলে আমার মেয়ের মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখে। এসময় আমার ভাই এর চিৎকারে গ্রামবাসীরা মিলে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসি। ধারণা করা হচ্ছে, আনারুল ইসলামের বসত বাড়িতে আমার মেয়ে প্রবেশ করলে মুখে গামছা গুজে গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করার পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এরপর মেয়ের মৃতদেহ জঙ্গলে ফেলে দেয়। নিহতের বাবা এমদাদুল হক বলেন, আমার এতটুকু মেয়েকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি তাদের কঠিন শাস্তির দাবি জানায়। নিয়ামতপুর থানার ওসি (তদন্ত) কওছার আলম বলেন, পুলিশ ঘটনা স্থানে গিয়ে নিহতের লাশটি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ভিকটিমকে আটকের চেষ্টা চলছে।