চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার জিয়ানগর মহল্লায় ঘরের মধ্যে ককটেল বানানোর সময় বিস্ফোরণে আহত ফাহমিদা বেগম (৫৫) মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সন্ধায় তার মৃত্যু হয়। ফাহমিদা বেগম চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার জিয়ানগরের মৃত. তবজুল হকের স্ত্রী। এ ঘটনায় এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে নিহত ফাহমিদা বেগমের ছেলে শহিদুল ইসলাম শহিদ। পুলিশের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় মা ও ছেলে দুজনই আসামি ছিলেন। বিকেল ৫টার দিকে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাহফুজুল হক চৌধুরী। এর আগে শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে পৌর যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শহিদের বাড়িতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে শহিদ ও তাঁর ৫৫ বছর বয়সী মা ফাহমিদা বেগম গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা জানায়, ককটেল তৈরির সময় এ বিস্ফোরণ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এর তথ্য-প্রমাণ পায়। ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে পুলিশ। তবে পুলিশ সেখানে যাওয়ার আগেই গুরুতর আহত অবস্থায় শহিদ ও তাঁর মাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার এস.আই অমিত কুমার পান্ডে। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই জালাল উদ্দীন। ওসি (তদন্ত) মো. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এরই মধ্যে মামলার এজাহার নামীয় আসামি ফাহমিদা বেগম মারা গেছেন। এতে মামলার তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।