গত ১৫ বছরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে গেছে, সেগুলোকে সংস্কার করতে প্রয়োজনীয় সময় দরকার। অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপির পক্ষ থেকে সময় দেয়া হবে, তবে অনির্দিষ্টকালের জন্য নয়। দেশে অনেকগুলো সমস্যা, এই সমস্যার সমাধান করতে পারে একমাত্র নির্বাচিত সরকার। তিনি স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগের সরকার ও তার দোসরদের বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করেন।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজ অডিটোরিয়ামে জেলা যুবদল আয়োজিত ‘বৈষম্যহীন, নিরাপদ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।
সাবেক এমপি হারুন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না, কারণ, এই সরকার ব্যর্থ হলে দেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে এই দেশকে নতুন করে স্বাধীন করেছেন। এই স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন-গত ১৫ বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে বৈষম্য হয়েছে, যে লুটপাট হয়েছে, যারা গুম, খুন, হামলা-মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের নেতা-কর্মী, সাধারণ মানুষকে হয়রানী করেছে, বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চালু করেছে, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার করতে হবে।
সাবেক এমপি হারুন আরও বলেন-কোনো অবস্থাতেই আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জাতীয়বাদী দল-বিএনপিকে আরো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশে ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও সক্রিয়, তাদের সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে হবে।
যুবদল নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাড. সোলাইমান বিশু। জেলা যুবদলের আহ্বায়ক তবিউল ইসলাম তারিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আলহাজ্ব মো. শামসুল হক,
সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মো. তৌসিকুল ইসলাম তসি, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মো. নজরুল ইসলাম, নাচোল পৌর বিএনপির সভাপতি মো. মোসাদ্দেক হোসেন, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান অনু, সাবেক ছাত্রদল নেতা মীম ফজলে আজিম। এসময় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও কৃষকদলের বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।