নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বিনা মুল্যে চক্ষু রোগীদের চিকিৎসার লক্ষ্যে বিনামুল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার কাদিরাবাদ কাজীপাড়া আলিম মাদ্রাসায় সকাল ৯টা হতে দিনব্যপী এই চক্ষু ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। বাগাতিপাড়ার বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার কাজী আমানুর রহমান অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও এই চক্ষু শিবিরের আয়োজন করেন। মদিনা চক্ষু হাসপাতাল ও ফ্যাকো সেন্টার এখানে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। কাজী আমানুর রহমান প্রায় দুইযুগ ধরে স্বউদ্যোগে এই ধরনের বিভিন্ন সেবামূলক সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। আর তার সেবা মুলক জনহিতকর কাজের স্বীকৃতিও তিনি পেয়েছেন।
জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব শান্তি দিবস উপলক্ষে স্বদেশ সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন ও জাতীয় ভিত্তিক সমাজসেবী সংস্থা ভোসেড (ভলান্টারী অর্গানাইজেশন ফরসোসিও-ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট) এর উদ্যোগে সম্মাননা পদক পেয়েছেন নাটোরের বাগাতিপাড়ার কাজী আমানুর রহমান। সফল কাজী ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি এই পদক পেয়েছেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় ঢাকার সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা মিলনায়তনে এই পদক দেয়া হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিচার পতি এম ফারুক চেয়ারম্যান শ্রম আপিল ট্রাইবুনাল, উদ্বোধন করেন ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্জুরুল হক সিকদার।
স্বদেশ সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী আলহাজ্ব প্রফেসর নুরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও কথাসাহিত্যিক মো. মঈনুদ্দিন কাজল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও একুশে পদক প্রাপ্ত অধ্যাপক ড. বিকিরন প্রসাদ বড়ুয়া, বিশিষ্ট প্রযুক্তিবিদ কর্ণেল (অবঃ) ড. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবি ড. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
কাজী আমানুর রহমান বাগাতিপাড়া সদর ইউনিয়নে বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া একটি সংগঠনের মাধ্যমে তিনি দীর্ঘ একুশ বছর যাবৎ চক্ষু রোগীদের বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা সহ চোখে লেন্স স্থাপন ও প্রায় আঠারো হাজার চক্ষু রোগীকে বিনা মুল্যে চশমা বিতরনে সহায়তা করে আসছেন। আরও অসংখ্য চক্ষু রোগীকে আউটডোরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি প্রতি বছর দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পোশাক, শিক্ষা উপকরন এবং দুঃস্থ অসহায় মানুষদের মাঝে টিউবয়েল স্থাপন,ও শীত বস্ত্র বিতরন করে আসছেন। আর এই সকল সামাজিক ও মানবিক কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ তিনি এই পদক পেয়েছেন। কাজী আমানুর রহমান বলেন, ছোটবেলা থেকেই সাধারন মানুষকে সাধ্যমত সেবা করার চেষ্টা করে আসছি। আল্লাহ তৌফিক দিলে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অন্যের সাহায্য ছাড়াই মানুষের কাজ করে যেতে চাই। আর এজন্য সকলের দোয়া চাই।