যাতে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় এবং ভোটাররা এসে নির্ভয়ে, নিঃসংকোচে যেন ভোটারদের পছন্দের প্রতীকে বা প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। সেই বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা এবং নির্বাচনে দায়িত্বপালন করবেন যারা, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় সভা হবে। এই মতবিনিময় সভা সত্যিই খুব জরুরী। প্রার্থী, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে মতবিনিময় পুর্বে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই জানি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ৩ আসনে নির্বাচিত এমপি যারা ছিলেন, তারা পদত্যাগ করায় আসন দু’টি শুন্য হয়। আইন অনুযায়ী শুন্য আসনে ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন করতে হবে। তাই তফসিল ঘোষনা করে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কারন আমরা উপ-নির্বাচনটা কিভাবে করতে চাই, নির্বাচন কমিশনের কি ইচ্ছা, সে বিষয়ে প্রার্থী এবং প্রশাসনকে বার্তা দেয়ার উদ্দেশ্যেই এ মতবিনিময় সভা। প্রার্থীরা যেন আইন মেনে চলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন সকলকে সহযোগিতা করেন, এবিষয়ে মূলত আজকের এ মতবিনিময় সভা করা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ইভিএমের প্রতি অনাস্থা থাকলেও সাধারণ মানুষের পূর্ণ আস্থা রয়েছে ইভিএম এর প্রতি। রাশেদা সুলতানা বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে আহবান জানাচ্ছি ইভিএম এর প্রতি আপনারা আস্থাশীল হন, ইভিএম অনেক ভালো মেশিন। ইভিএমে ভোট কারচুপির কোন সুযোগ নেই। এসময় নির্বাচন কমিশনের যুগ্মসচিব ফরহাদ আহম্মাদ খান, জেলা প্রশাসক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে রিটার্ণিং কর্মকর্তা একেএম গালিভ খাঁন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের রিটার্ণিং কর্মকর্তা ও রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিব বিপিএম-পিপিএম বার, জেলা নির্বাচন অফিসার মোতাওয়াক্কিল রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলামসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি, র্যাব এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁনের সভাপতিত্বে প্রার্থী, নির্বাচনী কাজে দায়িত্বপালনকারী প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের সাথে তিনি মতবিনিময় সভা করেন। উল্লেক্ষ্য, বিএনপি’র ২ সাংসদ পদত্যাগ করায় জেলার এই দুটি শুন্য হয় এবং আগামী ১ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২ ও ৩ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।