পুত্রবধুর বাড়িতে গিয়ে গাইবান্ধার সাঘাটার কচুয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোজাফফর আকন্দকে পিটেয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ২ ছেলে বউয়ের হাতে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের বামনহাজরা গ্রামে এঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, নিহত মোজ্জাফরের ছেলে জাফর ইকবাল বাংলাদেশ পুলিশ বাহীনিতে কর্মরত অবস্থায় সাঘাটা উপজেলার কামালের পাড়া ইউনিয়নের গোরের পাড়া গ্রামের ছাইদুল ইসলামের মেয়ে লিমা আক্তারকে ২০১৯ সালের ২৩ আগষ্ট বিয়ে করে। পরে পারিবারিক সমস্যার কারনে লিমা আক্তার বাদী হয়ে ৬ জানুয়ারি ২০২০ গাইবান্ধা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-২২৮/২০)। মামলায় আদালত পুলিশের চাকরী থেকে জাফর ইকবালকে অব্যহতি দেয়। পরে গত ৮ আগষ্ট ২০২০ সালে আদালতে দেনমহরের টাকা পরিশোধ করে লিমাকে তালক দেন জাফর ইকবাল। তালাকের কিছুদিন পর জাফর ইকবাল নিজেকে পুলিশের চাকুরীজীবি বলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের আব্দুল ওয়াহেদের মেয়ে শাপলা আক্তারকে ৯ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধায্য করে ২য় বিবাহ করে। বিবারের কিছু দিন পরে চাকুরী থেকে অব্যহতির বিষয়টি জানাজানি হলে ২য় স্ত্রী শাপলার পরিবারের মাঝে ক্ষোভ বেড়ে যায়। পরে দেন মোহরের টাকার জন্য ছেলের পরিবারকে চাপ দেয়। পরে একাধিক বার মিমাংসার চেষ্টা হলে মেয়ের পরিবার ছেলের বাবাকে একা আসতে বলে। প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে ছেলের বাবা মেজাফফর মেম্বার ছেলের বৌ শাপলার বাবার বাড়ীতে যায়। এর শাপলার পরিবারের লোকজন ১ম স্ত্রী লিমার পরিবারের লোকজনকে ডাকেন এবং ছেলের দুই স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজন ছেলের বাবাকে পরিকল্পিত ভাবে মারপিট করে। পটল ক্ষেতে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুত্বর অবস্থায় উদ্ধার করে সাঘাটা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষনা করেন। সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মতিউর রহমান হত্যার ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। নিহত সাবেক ইউপি সদস্য মোজাফফরের লাশটি গাইবান্ধা জেলা হাসপাতাল মর্গে রাখা তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।