মাটির গর্তে প্লাষ্টিকের ড্রামে অভিনব কৌশলে লুকানো অবস্থায় ১০ কেজি হেরোইনসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক সম্রাট ধুলু’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব ৫ এর সদস্যরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চর বাগডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব ৫ এর সদর দপ্তরের সদস্যরা। আটক মাদক সম্রাট মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে ধুলু মিয়া (৫০) চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার জাইরা মোড়ল গ্রামের মৃতঃ নসিমুদ্দিনের ছেলে। অপরজন মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে ধুলু মিয়ার ছেলে মোঃ মোমিনুল ইসলাম।
র্যাব প্রেসনোটে জানায়, র্যাব-৫ রাজশাহীর সিপিসি-১ কোম্পানী সদস্যরা গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে মাটির গর্তে প্লাষ্টিকের ড্রামে অভিনব কৌশলে লুকানো অবস্থায় এবছরের সর্বোচ্চ পরিমাণ মাদক ১০ কেজি হেরোইনসহ মাদক সম্রাট ধুলু’কে ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে গ্রেফতার করে। এসময় ২টি মোবাইল ও সীমকার্ড উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, আটক আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে ধুলু মিয়াসংঘবদ্ধ মাদক চক্রের সাথে জড়িত। এই চক্রের সদস্যরা এলাকায় বিভিন্ন পেশার ছদ্মবেশের আড়ালে সীমান্তের ওপার হতে বিপুল পরিমাণ হেরোইন চোরাচালান করে থাকে। এর আগেও বেশ কয়েকবার তারা একই পন্থায় বিপুল পরিমান মাদক সরবরাহ করেছে বলে স্বীকার করে। আসামীর বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জসদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
র্যাব আরও জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ র্যাবের নিকট গোয়েন্দা তথ্য ছিল, একটি চক্র মাদকের একটি বড় চালান পাচার হচ্ছে। এর ভিত্তিতে র্যাব সদর দপ্তর ইন্টেলিজেন্স উইং এর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় র্যাব-৫, সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৫, সিপিসি-১ এর গোয়েন্দা দল জানতে পারে ১৪/১২/২০২৩ তারিখ হেরোইন এর একটি বড় চালান পাচার করবে মোঃ রুস্তম আলী নামের একজন ব্যক্তি। পরবর্তীতে মোঃ রুস্তম আলীকে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারীতে রাখা হয়। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায় তিনিগত রাতে পদ্মা নদীর সীমন্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল এবং গত রাতে কোন এক সময়ে সীমান্তের ওপার হতে বিপুল পরিমাণ হেরোইন পাচারের জন্য শরিফুল ইসলাম ওরফে ধুলু মিয়া নামে মাদকের মুল হোতার বাসায় হেরোইন এর চালান নিয়ে আসে। র্যাবের আভিযানিক দল ধুলু মিয়ার বাসায় অভিযান পরিচালনার পূর্বে ধুলু মিয়া বুঝতে পেরে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। আভিযানিক দল শরিফুল ইসলাম ওরফে ধুলু মিয়ার বাসায় তার ছেলে মোঃ মমিনুল ইসলাম কে হেরোইন এর চালান সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করলে সে স্বীকার করে এবং বাড়ীর পিছনে ৪০০মিটার দূরে বাঁশ বাগানের মাটির গর্তে পুতে রাখা প্লাষ্টিকের ড্রামের ভিতর থেকে নিজে উদ্ধারকৃত হেরোইনসমূহ বের করে দেয়। পরবর্তীতে নিজস্ব গোয়েন্দা দল মুল মাদক সম্রাটকে ধরতে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আভিযানিক দল শরিফুল ইসলাম ওরফে ধুলু মিয়াকে বাড়ী থেকে ২ কিলোমিটার দূরে নদীর পাড় হতে গ্রেপ্তার করে।