নির্বাচন পরবর্তী দুই দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবির পক্ষে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে মঙ্গলবার ও বুধবার দু’দিনের গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, দেশের জনগণ একচেটিয়া নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। ৬৩টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি, আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগ ডামি নির্বাচন করেছে। ডামি প্রার্থী দিয়েছে, ডামি পর্যবেক্ষক দিয়েছে, তবু ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিতে পারেনি। সরকারের প্রতি যদি মানুষের আস্থা থাকতো তবে নিজ থেকেই ভোট দিতে আসতো। ৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, প্রথমে বলা হলো ২৭ দশমিক ৫ ভাগ ভোট পড়েছে, টেকনোলজির কল্যাণে জানা গেছে। পাশ থেকে এক কর্মকর্তা বলছেন ৪০ ভাগ বলতে হবে। তিনি বলেন, জনগণ ডামি নির্বাচন বর্জন করে প্রমাণ করেছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ভুয়া। নির্বাচন কমিশন দু-একটা কেন্দ্র বন্ধ করে প্রমাণ করতে চেয়েছে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। এসব নাটক জনগণ বুঝে গেছে। তিনি আরও বলেন, আগামীতে সরকার যে সরকার গঠন করবে তা হবে ফর দ্যা ডামি, বাই দ্যা ডামি। এমন ডামি সরকার জনগণ চায় না। দেশের মানুষ এ সরকারের পরিবর্তন চায়। কারণ, তারা ক্ষমতার অপব্যাবহারের মাধ্যমে সৃষ্টি করেছে ‘অলিগার্ক’। সুতরং জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চায় বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ও সেলিমা রহমান।