নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার দিবর ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরও দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কর্তন করে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে রোববার (২১ জানুয়ারি) পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দিবর ইউনিয়নবাসীর পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যার অনুলিপি সাপাহার প্রেসক্লাব সহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তরে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পত্নীতলা উপজেলাধীন বনগ্রাম, রূপগ্রাম ও শেখপাড়া মৌজার বাড়ীপুকুর এবং দিবর ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি খাস জমি, বন বিভাগ এবং বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বেশ কিছু গাছ কর্তন করে সাপাহার উপজেলা সদরের আব্দুর রাজ্জাকের একতা স’মিলে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে রাখেন অভিযুক্তরা। পরে দিবর ইউনিয়নের সচেতন কিছু লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে সাপাহার বন বিভাগ কর্মকর্তা, পত্নীতলা উপজেলা বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেন। মৌখিক অভিযোগ পেয়ে বন বিভাগ ও বরেন্দ্র বহু মূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আব্দুর রাজ্জাকের একতা স’মিলে পাঠান। তদন্তকারী কর্মকর্তারা ঘটনার সত্যতা পায় এবং ঘটনাস্থল হতে ১৭ টি আকাশমনি গাছের গুড়ি সিজার করে নিয়ে যায় সাপাহার বন বিভাগ অফিস। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, সামাজিক বন বিভাগ সাপাহার রেঞ্জ কার্যালয় এবং পত্নীতলা বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন দিবর ইউনিয়নের কিছু সচেতন মানুষ। যার অনুলিপি দেওয়া হয় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, নওগাঁ জেলা প্রশাসক, জেলা বন কর্মকর্তা, নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব এবং সাপাহার প্রেসক্লাবে। উক্ত অভিযোগে উল্লেখিত অভিযুক্তরা হলেন, দিবর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান রাহাত জামান, পত্নীতলা উপজেলার বহিরামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র রমজান আলী (৫০), উত্তর কাজীপাড়ার মৃত সোলাইমানের পুত্র কবিরুল ইসলাম (৪০)। মুঠো ফোনে দিবর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাহাদ জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি গাছ কর্তনের ঘটনাটি অস্বীকার করেন। এবিষয়ে সামাজিক বন বিভাগের সাপাহার রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে কথা বলা হলে তিনি বলেন, কিছু গাছ জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।