প্রায় চার মাস পর নওগাঁর পোরশা উপজেলার সোমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক মোকসেদ আলী(৫৫) এর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় সোমনগর কবর স্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। এসময় এ্যক্্িরকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। জানাগেছে, অফিস সহায়ক মোকসেদ আলী গত বছরের ৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে মারা যান। স্ট্রোকজনিত কারনে মোকসেদের মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সে কারনে পরের দিন মঙ্গলবার জোহরের নামাজের পরে সোমনগর মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় কবর স্থানে দাফন করা হয়েছিল। এর কিছুদিন পরে তার বোন সাপাহার উপজেলার মামুরিয়া গ্রামের শফিউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বেগম তার ভাইয়ের মৃত্যুকে স্বাভাবিক নয় দাবি করে নওগাঁ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোকসেদ আলীর স্ত্রী জান্নাতুন ফেরদৌস ও একই গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে মিজানুর রহমানকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় থানা পুলিশ মিজানুর রহমান এবং ঔ গ্রামের লোকমানের ছেলে রহমত আলীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন এবং মোকসেদের স্ত্রী জান্নাতুন আদালতে আত্নসমর্পন করেন। আদালতে মামলার শুনানি শেষে আদালত মোকসেদ আলীর লাশ কবর থেকে তুলে ময়না তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। ফলে ম্যাজেস্ট্রিটের উপস্থিতিতে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। এসময় সাপাহার সার্কেল সহকারি পুলিশ সুপার এমএম সবুজ রানা, থানা অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান সহ পুলিশ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।