পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি বলেছেন, ইটভাটা নিয়ে আমাদের ১’শ দিনের একটি কর্মসূচী আছে। অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিষয়ে আমরা পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেব। আমরা প্রাথমিক ভাবে ৫’শটি ইটভাটা বন্ধ করে দেবো। ইটভাটা বন্ধ করে মালিকদের পরিবেশবান্ধব ব্লক তৈরির দিকে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। শনিবার সকালে ফেনীর সার্কিট হাউজে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ইটভাটাগুলো শুধু বন্ধ নয়, যাতে পরবর্তীতে আর চালু না হতে পারে; সেই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আমাদের পূর্বের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, আমরা ব্যবস্থা নেই, ভাটা বন্ধ করি, পরে আবার চালুও করা হয়। ইটভাটাগুলো নবায়ন করা হচ্ছেনা। এমতাবস্থায় আমরা ব্লকের প্যাকেজের দিকে যাচ্ছি। আমরা আশা করবো; এখানে যারা ভাটার মালিক রয়েছেন, তারা সরকার থেকে প্যাকেজ গ্রহন করে পর্যায়ক্রমে ব্লকের দিকে যাবেন। তিনি বলেন, আমরা চাইবো, সবগুলো ভাটা বন্ধ হয়ে যাক। সবাই আধুনিক পদ্ধতিতে ব্লক তৈরী শুরু করুক। ব্লকের দুইটা সুবিধা আছে; একটা হচ্ছে এখানে কোন কৃষি মাটির ব্যবহার হবে না; আরেকটা হচ্ছে ব্লক তৈরীতে কোন বায়ু দূষণ হয় না।’
নদী দখল ও দূষণের বিষয়ে অপর প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার জলদার রক্ষায় ডিজিটাল ম্যাপিং করছে। এর মাধ্যমে আমাদের সবগুলো, নদী, জমি, খাল ও জলদার সম্পর্কে সুনিশ্চিত হতে পারবো। এরপর এর মনিটরিংটা আমরা ভালোভাবে করতে পারবো। দূষণের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। কোন স্থানে কি পরিমাণ বর্জ্য তৈরী হচ্ছে আমাদের পৌরসভার সক্ষমতা কতটুকু এসব বিবেচনা করে আমরা বর্জ্য রিসাইকিলিংয়ের ব্যবস্থাপনা করে যাচ্ছি। এসব বিষয় নিয়ে আমরা শুধু সমস্যার কথা বলতে চাইনা। সমাধানে কাজ করতে চাই। এসময় বন বিভাগের পরিচালক (ভূমি পরিমাপ) আনিস মাহমুদ, ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীন মোহাম্মদ, সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শওকত আরা কলিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।