শিবগঞ্জ উপজেলার ৪টি স্থানে বজ্রনিরোধক যন্ত্র স্থাপন করেছে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। এতে বজ্রপাতে প্রাণহানি কমে আসবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছরের ৪ আগস্ট পদ্মা নদীর ঘাটে বজ্রপাতে একসঙ্গে বরযাত্রীসহ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর থেকে প্রায় এলাকায় বজ্রপাতে মৃত্যু হচ্ছে। প্রেক্ষিতে প্রাণহানি কমাতে বজ্রনিরোধক যন্ত্র স্থাপন শুরু করে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি উপজেলার মনাকষা, পাঁকা, জালমাছমারী ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর এলাকায় ৪টি স্থানে চারটি বজ্রনিরোধক যন্ত্র স্থাপন করা হয়। পাঁকা ইউনিয়নের রুনু আলী জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে এ এলাকায় বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। যদি এ যন্ত্রে বজ্রপাত ঠেকাতে পারে, তাহলে কিছুটা হলে স্বস্তি ফিরে আসবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে উপজেলায় চারটি বজ্রনিরোধক যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। তবে উপজেলাটি বড় হওয়ায় চারটি বজ্রনিরোধক যন্ত্রে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। তিনি আরও জানান, এ যন্ত্রের কারণে অন্তত ১০০ মিটারের মধ্যে কোনো বজ্রপাত হবে না। যন্ত্রটি কতগুলো বজ্রপাত ঠেকাতে পেরেছে সেটি মোবাইল ফোনে অ্যাপসের মাধ্যমে দেখা যাবে। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল জানান, বজ্রনিরোধক যন্ত্রটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এ যন্ত্র স্থাপন করা হবে।