চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেনারী সার্জন হাসপাতাল জনবল সংকট থাকায় গবাদি পশুর চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সেবা গ্রহিতারা। চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন পশু মালিকরা। জানা গেছে-শিবগঞ্জ উপজেলায় একটি পৌরসভাসহ ১৫টি ইউনিয়ন। জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা এটি। উপজেলার গরু-মহিষ রয়েছে প্রায় ৩ লাখ, ছাগল- ভেড়ার সংখ্যা ৫ লাখ। এছাড়া ৩ শতাধিক পোল্ট্রি খামার রয়েছে। বিশাল এ প্রাণিসম্পদের চিকিৎসা ও তদারকির জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নেই। এদিকে, ভেটেনারি সার্জন ১ জন থাকলেও তিনি বর্তমানে প্রশিক্ষণে রয়েছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেনারী সার্জন হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তার ৪টি পদে ২টি, রানীহাটি ও ত্রিমোহনী কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্টে ২টি উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া ভেটেনারি কম্পাউন্ডার, অফিস সহকারি ও অফিস সহায়ক পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। এতে উপজেলার গবাদিপশু মালিকেরা তাদের গবাদিপশুর প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রতিদিন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে চিকিৎসার জন্য শতাধিক গবাদি পশু নিয়ে আসে। এসব গবাদি পশু চিকিৎসার জন্য যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারা হিমশিম খাচ্ছেন। এখানে চিকিৎসার জন্য চাপ কমাতে ভেটেনারি কম্পাউন্ডার ও দুজন স্বেচ্ছাসেবী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। দিনদিন বাড়ছে গবাদিপশুর চাপ। এ অবস্থায় রানিহাটি ও ত্রিমোহনী কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্ট দুজন উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা থাকলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে এতো চাপ বাড়তো না। এছাড়া এখানে কোন অ্যানিমেল সেড নেই। ফলে ঝড় বৃষ্টির দিন চিকিৎসার জন্য আসা গবাদি পশুদের নিয়ে মালিকেরা বিপাকে পড়েন। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রনজিৎ চন্দ্র সিংহ জানান, উপজেলা অফিসসহ প্রজনন পয়েন্টগুলোতে জনবল না থাকায় প্রচণ্ড চাপ হচ্ছে। ফলে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চাহিদামত গবাদিপশুর চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও বর্ষা-ঝড় ও বৃষ্টির জন্য এখানে একটি অ্যানিমেল সেট থাকা খুবই প্রয়োজন।