চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে চৈতন্যপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন না করে একই দিনে আনন্দ ভ্রমন করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণের আদেশ প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান কে দেয়া হলেও সে আদেশ অমান্য করে সাফিনা পার্কে আনন্দ্র ভ্রমনে যান তারা। এদিন পুরো মাদ্রাসাটি ছিল তালাবদ্ধ। এমনকি জাতীয় পতাকা পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়নি। এতে ক্ষুদ্ধ এলাকার সচেতন মহল। স্থানীয়রা জানায়, ধাইনগর ইউনিয়নে চৈতন্যপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা বন্ধ করে সকল শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা বাস যোগে রাজশাহীর গোদাগাড়ি সাফিনা পার্কে বনভোজনে যায়।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জয়নাল আবেদীন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সত্যতা মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পলন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে অবহিত করেছেন কর্তৃপক্ষ তারপরেও মাদ্রাসার সকল কার্যক্রম বন্ধ করে আনন্দ ভ্রমনের বিষয়টি চৈতন্যপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মোঃ সাদিকুল ইসলামের কাছে
জানতে চাইলে তিনি জানান, আনন্দ ভ্রমনটাও ৭ই মার্চের অংশ। জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার বিষয়ে তিনি বলেন, পতাকা উত্তোলনের জন্য একজন পিওন কে দ্বায়িত্ব দেয়া ছিলো, সে যদি জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করে থাকে, তাহলে সেটি অপরাধ। এব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আব্দুস সামাদ বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য সরকারের দেয়া নির্দেশ মোতাবেক চিঠির মাধমে সকল প্রতিষ্ঠান অবগত হওয়ার পরেও যদি কেউ অমান্য করে থাকে তাহলে, সে রাষ্ট্রবিরোধী এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতা করেছে।
চৈতন্যপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের দিবস পালন না করে এবং মাদ্রাসার সকল কার্যক্রম বন্ধ করে আনন্দ ভ্রমনে যাওয়ার ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবদুর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের দিবস পালন না করে এবং প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে আনন্দ ভ্রমনে যায়, তাহলে সেটা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। আমি দাপ্তরিক কাজে ঢাকাতে ছিলাম, তবে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে চৈতন্যপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মতিউর রহমান জানান (মতি ডিসি), শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য থাকায় আমি কোন যোগাযোগ করতে পারিনি। কিন্ত ৭ই মার্চ সকাল ১০ টার সময় লোক মুখে জানতে পারি যে, ৭ই মার্চের দিবস পালন না করে এবং মাদ্রাসা বন্ধ করে আনন্দ ভ্রমনে গেছে সকল শিক্ষক কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। আমার সাথে তারা কেউ যোগাযোগ করেনি, আমি লোক মুখে শুনেছি এবং আপনার কাছে শুনলাম, আমি বিষয়টি কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।