রহনপুর থেকে ম্যাংগো স্পেশাল ও কমিউটার ট্রেন ছাড়ার সময়সূচী নিয়ে হতাশাগ্রস্থ সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ। একই সময় ২টি ট্রেন আসার এবং ছাড়ার সময় হওয়ায় এই হতাশার কারন। চাঁপাইনবাগঞ্জের রহনপুর রেল স্টেশন থেকে বিকাল ৪ টায় ম্যাংগো ট্রেন উদ্বোধন হয়েছে সোমবার বিকেল ৪ টায়। প্রত্যাশিত ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটি অবশেষে সময়সুচি পরিবর্তন করে ২ ঘন্টা বিলম্বে রহনপুর রেলস্টেশন থেকে ছাড়া হচ্ছে। কিন্তু প্রায় একই সময়ে রহনপুরগামি কমিউটার ট্রেন আসার সময় থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে হতাশা লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয় রেল বিভাগও একই সমস্যা চিহ্নিত করে উধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানালেও বিষয়টি সুরাহা হয়নি। একই সময়ে ২টি ট্রেনের সময়সূচীর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন উর্ধ্বতন রেল কর্তৃপক্ষ এমনটায় আশা ব্যবসায়ী, সাধারণ যাত্রী ও স্থানীয় সচেতন মহলের। রহনপুর রেলস্টেশন সুত্রে জানা গেছে, ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটি বিকেল ৪টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। কিন্তু রাজশাহী থেকে দুপুর ৩টায় যাত্রীবাহি কমিউটার ট্রেন রহনপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে। রহনপুরে ট্রেনটি বিকেল সাড়ে ৪ টায় পৌঁছাবে। রাজশাহী-রহনপুরের স্টেশনটি একক রেল পথ হওয়ায় পথেমধ্যে বিড়ম্বনা শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ওই ট্রেনের যাত্রীদের। রহনপুরের আম ব্যবসায়ী সেমাজুল বলেন, রহনপুর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত ৬টি রেলের স্টেশন হওয়ায় ম্যাংগো ট্রেন পন্য লোড-আনলোড করতে দাড়াবে। এদিকে, যাত্রীবাহি ট্রেনটি পথিমধ্যে বিড়ম্বনায় পড়তে পারে। ম্যাংগো ট্রেনটি ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আরও দুঘন্টা বিলম্বে ছাড়লে ঢাকায় রাত পৌনে ২ টার পরিবর্তে আরও দুই ঘন্টা দেরিতে পৌছালেও কোন ক্ষতি হবে না। এতে করে ঢাকার ব্যাপারা পণ্যগুলো সহজে আনলোড করতে পারতেন। স্থানীয় এমরান বাবু বলেন, এ ট্রেনটি চালু নিয়ে বারবার বিপত্তি বাঁধছে। দুই বার সময় নির্ধারণ করেও ১৩ জুন উদ্বোধন হয়। ম্যাংগো ট্রেনটি বিকাল ৪টায় ছাড়লে যাত্রীবাহি কমিউটার ট্রেনটি আসতে প্রায় ৩০ মিনিট দেরি হতে পারে। এর ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়বে। সময়সুচি না পরিবর্তন করলে আম পরিবহনে আগ্রহীরা আগ্রহ হারাবে। এতে করে আম পরিবহনও কম হবে, আর রাজস্ব আয়ও কম হবে। রহনপুর রেওয়ের সহকারী স্টেশন-মাস্টার মামুন বলেন, ম্যাংগো ট্রেনটি চালু করার আগে সম্ভাবনা যাচায়ের সময়ে এরকম বিপত্তি বাঁধবে বলে লক্ষ্য করেছিলাম। এ বিষয়টি নিয়েও আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। তারা বিষয়টা দেখবো বলেছিলেন। কিন্তু পরে আমাদের আর কিছুই জানায়নি কর্তৃপক্ষ। আর কর্তৃপক্ষের আদেশের বাইরে তো আমরা স্থানীয়ভাবে কোন সময়সূচী পরিবর্তন করতে পারবো না।