1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফজলি আমের দাম কম ॥ চিন্তাগ্রস্থ চাষীরা - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগের মুল্য দিতে হবে- সকলের সহযোগিতায় দূর্ণীতি-অনিয়ম দূর করে মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই-জেলা প্রশাসক চাঁপাইনবাবগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমান হেরোইন ও ১টি ওয়ানশুটার গান উদ্ধার জনবান্ধব পুলিশ যেন বাস্তবে হয় ॥ শুধু কাগজ-কলমে নয়-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাঁপাইনবাবগঞ্জে গুম হওয়া আরিফ কে ফিরে পেতে এলকাবাসীর মানববন্ধন আগস্ট মাসে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনা ॥ ৪৭৬ জনের মৃত্যু পোরশায় ১৬ বিজিবি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভোলাহাটে প্রণোদনার মাসকালাই বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ নওগাঁর পোরশায় নতুন ওসি’র যোগদান এইচএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে যা জানা গেল চৌহালীতে প্রাথমিক শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফজলি আমের দাম কম ॥ চিন্তাগ্রস্থ চাষীরা

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৪ জুলাই, ২০২২
  • ২৪৭ বার পঠিত
Exif_JPEG_420

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফজলি আমের দাম কম ॥ চিন্তাগ্রস্থ চাষীরা

বাজারে ফজলী আমের দাম কম হওয়ায় চিন্তাগ্রস্থ আম চাষীরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের ফলন কম হওয়ায় মৌসুমের শুরু থেকে বাজার চড়া। বাজারে এখন আম্রপালি ও ফজলি আম বেশি পাওয়া যাচ্ছে। আম্রপালি আমের গায়ের রং, আকার আর খেতে সুমিষ্টি হওয়ায় বাজারে এ আম বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। অন্যদিকে, বাজারের সব চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে ফজলি আম। কানসাটের আম বাজারে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমান বাজারে ফজলি, ল্যাংড়া, আম্রপালি, লক্ষণভোগ, ক্ষিরশাপাত, আর প্রলম্বিত কিছু গুটি জাতের আম বিক্রি হচ্ছে।

ন্যাংড়া আম বিক্রি হচ্ছে ৩২০০ থেকে ৩৫০০ টাকা মণে। ক্ষিরশাপাত আমের রকমভেদে সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। গুটি জাতের আম গুলো প্রায় আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। আম্রপালি বিক্রি হচ্ছে ২৭০০ থেকে ৩০০০ টাকা মণে। আর বাজারে সব চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে ফলজি আম। এ আমের ১২০০- ১৬০০ টাকা পর্যন্ত। দুর্লভপুরের কালুপুর এলাকার আম বাগান মালিক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কানসাট আম বাজারে ৪ মণ ফজলি আম এনেছি। ভোক্তাদের কাছে আম্রপালির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ফজলি আমের কদর কমেছে। বাজারে আম্রপালি আম অনেক বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এ দিকে ফজলির আমের তেমন ক্রেতা নাই। গত বছরও আম্রপালি আমের কারণে ফজলির দাম পাওয়া যায় নি।

আরেক বাগানি সাইফুল ইসলাম বলেন, পুরাতন আম বাগানে প্রচলিত সকল জাতের আম গাছ আছে। বাগানে ১’শ আম গাছের মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০ টি ফজলি জাতের আম গাছের আবাদ হয়। আমার একদাগে ৩ বিঘা জমি আছে, ওই বাগানে অধিকাংশ ফজমি আমের গাছ আছে। কানসাট আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক টিপু বলেন, আমের ফলন কম হলেও দাম বেশি। বাজারে এখন ন্যাংড়া, আম্রপালি আর ফজলি আমে ভরপুর। বাজারে সব চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে ফজলি আম। ফজলি আমের জায়গা দখল করে নিয়েছে আম্রপালি আম। কৃষি গবেষণা তথ্য মতে, আম্রপালির আমের মিষ্টতার পরিমাণ ক্ষিরাপাত (ক্ষিরশাপাতে টিএসএস ২২ দশমিক ৮৪ ) আমের চাইতে বেশি। অন্যদিকে, ফজলি আমের মিষ্টতার পরিমাণ ১৭ দশমিক ৫। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এবার আমের মৌসুমে ৭ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৪৬ হাজার ১০৫ টি গাছে আম্রপালির চাষাবাদ হচ্ছে। অন্যদিকে, ৮ হাজার ১৭ হেক্টর জমিতে ৬ লাখ ১৩ হাজার ৭৩৫ টি আম গাছে এবার ফজলি আম চাষ করেছেন বাগান মালিকরা। আম্রপালি আমের গুণগত মান এবং মিষ্টতার কারণে চাহিদা বেশী। এজন্য বাগানগুলোতে আম্রপালি আমের চাষ দিন দিন বাড়ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!