নওগাঁর নিয়ামতপুরে খাস খতিয়ান ভুক্ত একটি পুকুরে মাছ মারাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের আঘাতে ২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানায় ১৪ জনকে নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর বাবা মোনাঈম বাশীর। নিয়ামতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের ধাঐল গ্রামে মোনাঈম বাশীরের সম্পত্তির পার্শ্বে ধাঐল মৌজায় দাগ নাম্বার ৫৪১ পুকুরের আয়তন ০.৩৯ শতাংশ একটি খাস পুকুরে মোনাঈম বাশীর মাছ চাষ করেন। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে মোনাঈম বাশীরের ছেলে মতিউর রহমান (হান্নান) ও নাতী সাকিব জমি দেখার জন্য মাঠে গেলে দেখতে পায় প্রতিপক্ষ আকবর আলী, সাইদুর ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, ফরিদ, মোহাম্মদ আলী, হাসান আলী, আশরাফুল ইসলাম, ইমান আলী, আব্দুস সাত্তার, নূর, রুহুল আমিন, ওবাইদুল হক, কামাল হোসেন জোরপূর্বক উক্ত পুকুরে হতে মাছ ধরে নিচ্ছে। এ সময় হান্নান ও সাকিব উভয়কে পুকুর থেকে মাছ মারতে নিষেধ করলে প্রতিপক্ষরা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, বাঁশের লাঠি, হাসুয়া নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। প্রতিপক্ষ আকবর আলী, সাইদুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করে।
ভুক্তভোগীর বাবা মোনাঈম বাশীর বলেন, আমার ছেলে হান্নান ও নাতী শাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমার ছেলেকে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আমি এ ঘটনায় প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু বিচার চায়। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ আকবর আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, আমার পুকুরে আমি মাছ ধরেছি। ঘটনার সাথে জড়িত নয় এবং তার বিরুদ্ধের সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আল মাহমুদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।