প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়ায় জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র সিরাজুল ইসলাম বুলু’কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগসহ সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
সোমবার রাতে উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিবাদ সমাবেশে তাকে অবাস্থিত ঘােষণা করা হয়। সিরাজুল ইসলাম বুলু গত ২০১৭ সালের ২৩ মে পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে মেয়র নির্বাচিত হন। আগামী ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তিনি আবারো দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন বোর্ড যাচাই বাছাই করে এবারের নির্বাচনে সিরাজুল ইসলাম বুলুকে মনোনয়ন না দিয়ে, নবনির্বাচিত ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সরদারকে নৌকা প্রতীক দিয়ে মেয়র পদে দলীয় মনোনিত করেছে মনোনয়ন বোর্ড। এতে পৌর মেয়র সিরাজুল ইসলাম
বুলু ক্ষুদ্ধ হয়ে জেলার কতিপয় সাংবাদিকদের নিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেকে বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোষণা করেন।
ক্ষেতলাল পৌর এলাকার ইটাখোলা বাজারে তার কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাকালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে অশালীন বিভিন্ন মন্তব্য করেন। তার দেয়া বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দেয় এবং গত সোমবার রাত ৮ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযােগী অঙ্গসংগঠনের আয়ােজনে ক্ষেতলালের জিরো পয়েন্টে সিরাজ্ুল ইসলাম বুলু’র বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভাও করে। সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনােয়ারুজ্জামান ইসলাম তালুকদার নাদিম এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন,
আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাড. এস এম মোরশেদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা আবু মুসা কিং, ছাত্রলীগ নেতা জুল আরশ শুভসহ আরও অনেকেই। সমাবেশে ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম বুধবার দুপুরে প্রতিবেদককে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহারসহ ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, তিনি ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। এব্যাপারে অভিযুক্ত ক্ষেতলাল পৌর মেয়র সিরাজুল ইসলাম বুলুর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি উত্তেজিত কন্ঠে বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি, কথা বলার সময় নেই, বলে তিনি সাংবাদিককের ফোন কেটে দেন।