ভোলাহটে স্ত্রীর অধিকার পেতে স্বামীর বাড়িতে অনশন করছেন স্ত্রী মোসাঃ মাহমুদা খাতুন। বুধবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার গোহালবাড়ী ইউনিয়নের গোহালবাড়ী হাটখোলা পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। অনশনরত স্ত্রী ভোলাহাট গ্রামের মোসাঃ মাহমুদা খাতুন জানান, মোঃ মোরসারুল হক চারুর ছেলে মোঃ মিনহাজুল আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিভিন্ন ভাবে কৌশলে আমার আপত্তিকর ছবি নিয়ে রাখে। ২ বছর পূর্বে অন্য ছেলের সাথে আমার বিয়ে ঠিক হলে মিনহাজুল আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে আমার বিয়ে ভেঙ্গে দেয়।
পরবর্তীতে ২রা মে ২০২০ তারিখে মিনহাজুল আমাকে বিয়ে করে। বিয়ের রেজিষ্ট্রারে উল্লেখ্য করেন, আমি ২ বছর আমার পিতার বাড়িতে অবস্থান করবো। ছেলে মিনহাজুল যাতায়াত করবে। কিন্তু বিয়ের পরে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই। ফোন করলে নম্বর ব্লক করে রাখে। বিয়ের রেজিষ্ট্রার অনুযায়ী ২ বছর পার হলেও আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। আমি যোগযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু আমার সাথে কোন কথা না বলে তাঁর পিতাকে ফোন ধরিয়ে দেই। আমার কোন ভরনপোষন দেয়নি। আমাকে স্ত্রীর মর্যাদাও দিচ্ছে না। বহু অপেক্ষা করেও অধিকার না পাওয়ায় স্ত্রীর অধিকার পেতে এই অনশন করছি। ভুক্তভূগী স্ত্রী বলেন, মিনহাজুল আপত্তিকর ছবি ভাইরাল করে আমার বিয়ে ভেঙ্গেছিলো। সে বিয়ে করে আমাকে স্ত্রীর অধিকার দিচ্ছে না। লোকের মাধ্যমে আমাকে ডিভোর্সের প্রস্তাব পাঠিয়েছে। আমি স্বামীর সংসার করতে চাই, ডিভোর্স নিয়ে আমি কোথায় যাবো। সে আমার ইজ্জত সম্মান শেষ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমার নিজের বাবা মারা গেছে। এখন আমি ভাইদের কাছে বোঝা হয়ে গেছি। ভাই আমাকে রাখবে না। আমার এখন কোথাও ঠায় নাই। সকালে স্বামীর বাড়িতে আসলে আমার শশুর শাশুড়ি ও আমার স্বামী শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমি স্বামীর কাছে স্ত্রীর অধিকার চাই। অধিকার না দিলে স্বামীর বাড়িতেই আত্মহত্যা করবো। এ বিষয়ে স্বামী মোঃ মিনহাজুল বলেন, আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলোনা। জোর করে থানা থেকে ভয় দেখিয়ে আমার সাথে বিয়ে দিয়েছিল। আপত্তিকর ছবি বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ মিনহাজুল ও তাঁর পিতা সাংবাদিকদের উপরে মারমুখি হন ও অকথ্য ভাষায় কথা বলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে বলেন। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াশিন আলী শাহ বলেন, তাঁদের ব্যাপারে সমাধান করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে মেয়ে কোন সমাধাণে রাজি হয়নি। ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহবুবুর রহমানের বলেন, এব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।