চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় মনোহরপুর এলাকায় জিওটিউব ফেলে পদ্মা নদীতে ভাঙন রোধে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর এলাকার কুপ পাড়ায় জিওটিউব ফেলা হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবী, এভাবে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব নয়, স্থায়ী ব্যবস্থা না নেয়া হলে। এভাবে অসময়ে ভিটেমাটি নদীতে নেমে যাওয়ার সময় লোকদেখানো কাজ করা নিয়ে ক্ষুদ্ধ ভূক্তভোগীরা। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের দাবী পদ্মা ভাঙ্গন রোধে বসতি এলাকায় জিওটিউব দিয়ে চেষ্টা চালানো হচ্ছে, সাময়িকভাবে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, উজান থেকে আসা পানিতে পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে তীব্র স্রোতের তোড়ে ভাঙছে পদ্মা পাড়। মনোহরপুর এলাকার কুপ পাড়ার মহল্লার অধিকাংশই নদীতে বিলিন হয়ে যায়। এই মহল্লায় প্রথমে জিওটিউব দিয়ে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা চলছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা নিরাপদ দূরত্বে অন্যত্র ঘর তুলেছেন। স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ করা না হলে, ওই এলাকারই নামো জগন্নাথপুরের পন্ডিত পাড়া, আয়ুব বিশ্বাসের পাড়া, বাদশা পাড়া, পন্ডিত পাড়া, দোভাগী এলাকার হাজার বিঘা ফসলি জমি, সরকারী-বেসরকারি স্থাপনা হুমকির মুখে পড়বে। পদ্মা পাড়ের বাসিন্দা সিমুল বলেন; জিওব্যাগ বা জিওটিউব দিয়ে নদী ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু ভরা নদীতে এসব ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। নদীর পাড়ের নিচের অংশ কেটে যাচ্ছে, ফলে স্রোতে মাটি ভর্তি জিওব্যাগ গুলো ভেসে যাচ্ছে। বদিউর বলেন, নদী ভাঙন এ এলাকায় প্রতি বছরই হয়। এ দুর্যোগে কবলিত মানুষরা অসহায় হয়ে পড়ে। নদীতে যখন পানি থাকেনা, তখন ভাঙন রোধে পূর্বপ্রস্তুতি নিলে ভাঙন কম হতো। ভরা নদীতে বস্তা ফেলে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করলে, সব চেষ্টা বৃথা। নদীতে যে স্রোত, এ বস্তা থাকবে না। মনোহরপুর ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম বলেন, এখন ভাঙন রোধ করার জন্য বস্তা ফেলছে ঠিকাদারা। শুষ্ক মৌসুমে নদী ভাঙন রোধে বাঁধ দিলে, নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের অনেক উপকার হতো। এভাবে স্রোতে বস্তা ফেলে কোন লাভ হবে না। সময়ে খরচ করলে এলাকাবাসীর লাভ হতো। অসময়ে টাকা খরচ করে এলাকার কোন লাভ হবে না, লাভ হবে ঠিকাদারের, আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের। এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, শিবগঞ্জ মনোহরপুরে নদী ভাঙন রোধ করতে প্রায় ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। জিও ব্যাগের পরিবর্তে প্রায় ১৬ থেকে ১৭ টন ওজনের জিওটিউব ফেলে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। সব ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় হঠাৎ কাজ করা সম্ভব নয়, লোকালয় এলাকায় জিওটিউব ফেলে রোধের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আশা করি সাময়িকভাবে ভাঙ্গন রোধ হবে। এছাড়াও রঘুনাথপুরেও ভাঙ্গন এলাকায় কাজ শুরু হবে দ্রুতই।