দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার করে বিভিন্ন চিকিৎসা দেয়া ভূয়া চিকিৎসক ও তার সহকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ৫ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা। মারাত্মক এসিড ব্যবহার করে টিউমার চিকিৎসা করে রোগীকে ভুল চিকিৎসা প্রদানকারী আদর্শ চিকিৎসালয়ের এই ভূয়া ডাক্তার ডাঃ মোঃ মাসুম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। আটকরা হচ্ছে, শিবগঞ্জ উপজেলার ওমরপুর খোঁচপাড়ার মোঃ শফিকুল ইসলাম @ সুফিয়ানের ছেলে মোঃ মাসুম আলী(৩২) ও শ্যামপুর টিকোশ গ্রামের মোঃ একরামুল হক’র ছেলে মোঃ আব্দুল মতিন (২০)। র্যাবের এক প্রেসনোটে গভীর রাতে জানানো হয়, ১৩ অক্টোবর দুপুর দেড়টার দিকে বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন ওমরপুর খোঁচপাড়া গ্রামস্থ কথিত ডাঃ মোঃ মাসুম আলীর চেম্বার আদর্শ চিকিৎসালয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার রুহ-ফি-তাহমিন তৌকির এবং কোম্পানী উপ অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম। এসময় ২ টি প্রেসক্রিপশন প্যাড, ১ সেট এনালগ বিপি মেশিন, ১ টি টুল বক্স, কাচি-১১টি, ভূয়া প্রেসক্রিপশন-১টি, ঔষধ ক্রয়ের ভাউচার-১টি সহ কথিত ভূয়া চিকিৎসক মোঃ মাসুম আলী এবং সহযোগী মোঃ আব্দুল মতিনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃতরা দেশে কিংবা বিদেশে স্বীকৃত কোন মেডিক্যাল কলেজ হতে চিকিৎসা বিষয়ে কোন ডিগ্রী অর্জন না করেই প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে অননুমোদিতভাবে ডাক্তারী প্রেসক্রিপশন করে গরিব অসহায় রোগীদের নিকট হতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিগত কয়েক বছর ধরে ভূল চিকিৎসা দিয়ে আসছিলো। একজন ভূক্তভোগীর অভিযোগে জানা যায়, তিনি তার স্ত্রীর মাথার টিউমার অপারেশন করার জন্য বর্নিত ভূয়া ডাক্তার মোঃ মাসুম আলী এর নিকট যায়। বর্ণিত ভূয়া ডাক্তার টিউমার অপারেশন না করে সেখানে এসিড প্রয়োগ করলে রোগীর অবস্থা আশঙ্কা হলে বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে র্যাব সরে জমিনে তদন্ত কালে বিষয়টির সত্যতা পেলে ভূয়া ডাক্তার এবং তার সহযোগীকে র্যাবের একটি টহল দল গ্রেফতার করে।