স্কুল না থাকায় বছরের পর বছর শিক্ষা থেকে বঞ্চিত গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের কাদেরের চরের শিশুরা। যে সময় এ চরের শিশুদের শিক্ষা স্কুলে যাবার কথা, সে সময় তাদের সময় কাটে খেলাধুলা করে। শিক্ষা বঞ্চিত শিশুদের সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে দ্রুত সরকারি বেসরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠার দাবি চরবাসির। জানা গেছে, তিস্তা নদীর অপারে জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের কাদেরের চর। দুর্গম এ চরটিতে চাষের জন্য ট্রাক্টরের হাল, ঘরের চালে সোলার, বিদ্যুৎ ও ডিস সংযোগ থাকলেও পড়া লেখার জন্য নেই কোন শিক্ষা ব্যবস্থা। সরকারি বেসরকারি কোন স্কুল না থাকায় পড়া লেখা থেকে বছরের পর বছর বঞ্চিত থাকছে এ চরের ছেলে মেয়েরা। যে সময় তাদের বই হাতে স্কুলে যাওয়ার কথা সে সময় তাদের দিন কাটছে খেলাধুলা আর পরিবারিক কাজে সহয়েতা করে। এতে নিরক্ষর থাকে যাচ্ছে এ চরের শিশুরা। তিন থেকে চর শতাধিক পরিবারের বসবাস কারি কাদেরের চরের বাসিন্দারা জানান, নদী ভাঙ্গার করনে আশপাশের চর থেকে এসে তারা এ চরে স্থায়ী বসতি গড়ে তুলেন। প্রতি বছর এ চরে নতুন করে বসতি গড়ার সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তবে চরটিতে পড়া লেখার জন্য নেই জন্য নেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই শিক্ষা বঞ্চিত থাকছে তাদের ছেলে মেয়েরা। আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় নিজেদের ইচ্ছা থাকলেও ছেলে মেয়ে বহিরে রেখে পড়া লেখা করাতে পরচ্ছেনা বলে জনান তারা। চরের স্থানীরা আরও জানান, সর্বশেষ পাশর্^বর্তী কেরানির চরের প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ায় দূরবর্তী চরে গিয়ে শিশুদের পড়া লেখা সে সুযোগটিও বন্ধ হয়ে গেছে। দ্রুত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে সরকারি বেসরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠার দাবি চরবাসির। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, নদী বিধৌত এলাকা হওয়ায় নদী ভাঙ্গনের করনে স্কুল বিলিন হয়ে যাওয়ায় পড়া লেখার বিঘ্ন হয়ে থাকতে পারে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, প্রয়োজনিয়তা বেবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব চরটিতে সরকারি- বেসরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে পড়া লেখার নিশ্চিত করার আশ^াস দেন। মানুষের মৌলিক অধিকার শিক্ষা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন এমনটি দাবি কাদেরের চরবাসির।