ফরিদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে শহরের ব্রাহ্মসমাজ সড়কের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুইজন আহত হয়েছেন। তাদের ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন-গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও শহরের ঝিলটুলী এলাকার বিল্লাল কাজীর ছেলে কাজী নিশাত আহমেদ (২৫) এবং সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যয়নরত আবরার নাদিম ইতু (২৬)। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বেলা ১১টা থেকে শহরের ব্রাহ্মসমাজ সড়কের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় সেখানে তারা সড়কে বসে নানা ধরনের শ্লোগান দিচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে সোয়া ১১টার দিকে সেখানে প্রায় অর্ধশত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছুটে এসে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। এ সময় আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় সেখানে আরও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হন।
হামলার বিষয়ে আহত আবরার নাদিম ইতু বলেন, আমাদের কর্মসূচি শুরু হতে না হতে হতেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের উপস্থিতিতে অতর্কিতভাবে হামলা করে। আমার সহকর্মীরা পরে গেলে তাদের উঠাতে যাই। এ সময় আমার পরিচিত মুখই হামলা চালায়। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকের মাথায় আঘাত করেছে তারা। আমাদের দেখে নেয়ারও হুমকি দিয়ে গেছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। ইতুর দাবি, আমরা প্রতিদিনই শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি। আজও পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে; শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা পুলিশের বাধা অতিক্রম করে এসে আমাদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনার পরে আন্দোলনকারীরা শহরের ব্রাহ্মসমাজ রোড থেকে একটি প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মুজিব সড়কের দিয়ে প্রেসক্লাব হয়ে জনতা ব্যাংকের দিকে অগ্রসর হলে তাদেরকে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। পরে প্রেসক্লাবের সামনে কোটার বিরোধিতা করে ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের বিচার দাবি করে তারা। হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিলুর রহমান রিয়াদ বলেন, আন্দোলনকারীদের পাশ দিয়ে ছাত্রলীগের একটি মিছিল যাওয়ার সময় আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকার স্লোগান দিলে সংঘর্ষ হয়। ফরিদপুরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ হামলার বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।