ভোলাহাটের জামবাড়ীয়া ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামে একটি রাস্তার দু’ধার দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করায় পথচারীসহ এলাকাবাসীর দূর্ভোগ চরমে উঠেছে। সেখানের মাত্র ৫টি পরিবারের কাছে জিম্মি একটি গ্রামের সহস্রাধীক মানুষ।
ভুক্তভুগী মানুষের লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ভোলাহাট উপজেলার ৪নং জামবাড়ীয়া ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের ১০ ফুট প্রস্থ একটি মাত্র কার্পেটিং রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত করে থাকেন ঐ গ্রামের সহস্রাধীক মানুষ। কিন্ত মৃত গুদুস্তির ছেলে মোঃ সালেক, মৃত আকিমুদ্দিনের ছেলে মোঃ জেকের, মোঃ তালেপ, মোঃ চুটু, মোঃ নাজিরের ছেলে মোঃ ইসমাইল রাস্তাটির দু’পাশে নালা করে বাড়ীর দৈনন্দিন ব্যবহারের ও নোংরা পানি বের করা, গর্ত করে গোবর সংরক্ষণ, গরু বেঁধে রাখা, খড়ি সংরক্ষণসহ নিজস্ব সম্পত্তির মত দখল করে ব্যবহার করে আসছেন গত ১৪/১৫ বছর ধরে। এতে করে গ্রামবাসীসহ অন্য পথচারিদের রাস্তা পারাপারে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। দখলদারদের কিছু বলতে গেলে হামলার শিকার হতে হয় পথচারিদের। লিখিত অভিযোগে আরো জানা যায়, এ ৫টি পরিবার সরকারি নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে দৈ তৈরীর কারখানা করায় তাঁদের নিজস্ব ভ্যান রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে মালামাল উঠানামা করে। তাঁদের এ সব দখল দারিত্বে রাস্তা দিয়ে একটি ভ্যান পারাপারের সময় একজন পথচারীও পারাপার হতে পারে না। অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে মোঃ সালেককে বাড়ীর পানি নিষ্কাশনের জন্য রাস্তার পাশে গর্ত খুঁড়তে দেখা যায়। তিনি বাড়ীর পানি নিষ্কাশনের জন্য গর্ত করছেন বলে স্বীকার করেন। মোঃ জেকের রাস্তা দখল করে আম গাছের খড়ি স্তুপ করে রাখতে দেখা যায়। এদিকে তাঁদের অত্যাচারে রাস্তা দিয়ে একটি ভ্যান গেলে একজন মানুষ পারাপার হয় না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আফাজ উদ্দিন পানু মিয়া জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রামবাসী প্রতিকার চেয়ে একটি অভিযোগ করেছেন। আমি সরজমিনে গিয়ে নিষেধ করলে তাঁরা কোন কথাই শুনেনি। তাঁদের নোটিশ দিয়ে পরিষদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের আদেশ অমান্য করলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।