1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
শিক্ষা কারিকুলামে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন- চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৌঁছেছে মাধ্যমিকের মাত্র ২৮ ভাগ পাঠ্যবই - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পানিবণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে নীরব থাকার দিন শেষ-উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাথান ঘর লুটপাট করে পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ ॥ থানায় অভিযোগ রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে সরকারের ২ কমিটি ট্যাফিক ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে-আসিফ মাহমুদ সরকারকে একটি ভালো নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে হবে-শামসুজ্জামান দুদু রামেবি’র উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ বিষয়ে রাজশাহীর গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় রহনপুর স্টেশন ব্যবসায়ীদের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় জয়পুরহাটে আবারও বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার চেষ্টা মেট্রোরেলে রেকর্ড: ১৯ দিনেই ছাড়ালো ৬ মাসের আয় রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু

শিক্ষা কারিকুলামে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন- চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৌঁছেছে মাধ্যমিকের মাত্র ২৮ ভাগ পাঠ্যবই

টুটুল রবিউল-নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৫৩ বার পঠিত

শিক্ষা কারিকুলামে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৌঁছেছে মাধ্যমিকের মাত্র ২৮ ভাগ পাঠ্যবই

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বছরের প্রথম দিন নতুন পাঠ্যবই তুলে দেয়া হবে শিক্ষার্থীদের হাতে। সে অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ে চাহিদা প্রেরণ করেছে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। বই উৎসবের দিন আসতে বেশী দেরী না থাকলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় চাহিদার বিপরীতে মাত্র ২৮ ভাগ নতুন পাঠ্যবই পৌঁছেছে। এনিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে ১ জানুয়ারি বই উৎসব নিয়ে। অভিভাবকদের শঙ্কা বই উৎসবে সকল শিক্ষার্থী নতুন বইয়ের গন্ধ পাবে কিনা, তবে শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, যথা সময়ে নতুন পাঠ্যবই চলে আসবে এবং বই উৎসবের দিন সকল শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়া যাবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে জেলায় নতুন পাঠ্যবইয়ের চাহিদা দেয়া হয়েছে ৭ লক্ষ ১৪ হাজার ৫৪০। এর মধ্যে এবতেদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯৩০, দাখিলের জন্য ৫ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৪০, মাধ্যমিকের জন্য ১৮ লক্ষ ৯৪০ এবং ভোকেশনালের জন্য ৩৯ হাজার ৫৬০টি পাঠ্যবই। সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ৭ লক্ষ ১৪ হাজার ৫৪০টি চাহিদার বিপরীতে পাঠ্য বই পেয়েছে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮২০টি।

যা চাহিদার ২২ ভাগ মাত্র। সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম বলেন, বাকি বই যথাসময়ে পেয়ে যাবেন এবং ১ জানুয়ারি বই উৎসবে উপজেলার সকল শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দিবেন। গোমস্তাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসী বেগম জানান, ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৬০ চাহিদার বিপরীতে ১১ ডিসেম্বর রবিবার পর্যন্ত পেয়েছেন ১ লক্ষ ১০টি। আরও ত্রিশ হাজার আসছে বলে জানান তিনি। গোমস্তাপুরে চাহিদার মাত্র ২৯ ভাগ বই পৌঁছেছে। শিবগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জয়নাল আবেদীন জানান, মাধ্যমিকের চাহিদা ৭ লক্ষ ১১ হাজার ৯০০ এর বিপরীতে বই পেয়েছেন ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৮৯৫। যা চাহিদার ২৮ ভাগ। দাখিলের চাহিদা ২ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৬০ এর বিপরীতে পাঠ্যবই পেয়েছেন ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭১০। যা চাহিদার ৭০ ভাগ। এবতেদায়ী চাহিদার ১ লক্ষ ২০ হাজার ৪৫০ বিপরীতে বই পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৬০০। যা চাহিদার ৬৬ ভাগ। মোট ১০ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭১০ চাহিদার বিপরীতে ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ২০৫ বই পৌঁছেছে। যা মোট চাহিদার ৪২ ভাগ। নির্দিষ্ট সময়ে বাকী পাঠ্যবই পেয়ে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শিক্ষা অফিসার। ভোলাহাট উপজেলায় ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬৯০ চাহিদার বিপরীতে বই পেয়েছে ৩৪ হাজার ৮২৪।

যা চাহিদার মাত্র ২২ ভাগ। বাকী বই শীঘ্রই পেয়ে যাবেন বলে জানান, ভোলাহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তৌফিকুল ইসলাম। নাচোল উপজেলায় ২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৫১০ পাঠ্যবইয়ের চাহিদার বিপরীতে নতুন বই পৌঁছেছে ৭৩ হাজার ৪১০টি। যা চাহিদার ২৫ ভাগ। জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ভোকেশনাল স্তরে ৩৯ হাজার ৫৬০ চাহিদার বিপরীতে এখন পর্যন্ত ৩০ ভাগ বই পাওয়া গেছে। বাকী বই খুব শীঘ্রই পেয়ে যাবে। শিক্ষা অফিসের একটি সূত্র জানায় মুদ্রণ শিল্পে কাগজ, কালিসহ বিভিন্ন কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে যথাসময়ে চাহিদার সকল পাঠ্যবই পাওয়া নিয়ে তাদেরও শঙ্কা রয়েছে। তাই ১ জানুয়ারি সকল শিক্ষার্থী নতুন পাঠ্যবই নাও পেতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবকও এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রশিদ জানান, এবার প্রচলিত পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসতে ঢালাওভাবে সাজানো হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। এর জন্য সম্পূর্ণ নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পাঠ্য বইয়ের বিষয় নির্বাচনেও এসেছে বেশ পরিবর্তন। প্রত্যেক ধর্মের জন্য আলাদা বই ছাপানো হয়েছে। প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়ে জানতে অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত আছে আলাদা অধ্যায়। চাপে নয় বরং আনন্দে শিক্ষার জন্যই নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

নতুন শিক্ষাক্রমে ‘চারুকলা’র নাম দেওয়া হয়েছে ‘শিল্প ও সংস্কৃতি’। এর ফলে এ বিষয়ে শিখন ক্ষেত্র অনেক বাড়বে। আগে যেমন এ বিষয়ে শুধু চারুকলাকে ফোকাস করা হতো, এখন চারুকলার পাশাপাশি নৃত্যকলা, নাট্যকলা, সংগীত ইত্যাদি বিষয় থেকে শিক্ষার্থী জানতে পারবে। ‘জীবন ও জীবিকা’ বইটি পেশাভিত্তিক। নবম ও দশম শ্রেণিতে এ বিষয়ে বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যেক শিক্ষার্থী কৃষি, সেবা বা শিল্প খাতের একটি পেশায় দক্ষতা অর্জন করবে। এতে দশম শ্রেণি শেষে একজন শিক্ষার্থী যে কোনো একটি পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবে। আগের আইসিটি নামে বইটির বিষয়টির ব্যাপ্তি বাড়িয়ে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি’। নতুন কারিকুলামে প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, ধর্মশিক্ষাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং শিল্পকলা বিষয় থাকবে। আর মাধ্যমিক স্তরে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানের পাশাপাশি জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ধর্মশিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়েও শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে শ্রেণিকক্ষে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৬০ ভাগ। আর সামষ্টিক মূল্যায়ন ৪০ ভাগ। এছাড়া জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ধর্ম শিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতিতে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে শতভাগ। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির সবাইকে পড়তে হবে ১০টি বিষয়। দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ওপরই অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি পরীক্ষা। এসএসসিতে থাকবেনা বিজ্ঞান, কলা বা অন্যকোন বিভাগ। তবে নবম ও দশম শ্রেণিতে জীবন ও জীবিকা বিষয়ে বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যেক শিক্ষার্থী কৃষি, সেবা বা শিল্প খাতের একটি অকুপেশনে দক্ষতা অর্জন করবে এবং দশম শ্রেণি শেষে যে কোনো একটি পেশায় কাজ করার মতো পেশাদারি দক্ষতা অর্জন করবে। প্রতিবছরের মতো ২০২৩ সালের পহেলা জানিুয়ারিতেই বই উৎসব হবে। তিনি আরও জানান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে মানুষের জীবন-জীবিকার দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। যেখানে প্রচলিত পেশার ৩ ভাগের ২ ভাগ ২০৩০ সালের মধ্যে অবলুপ্ত হয়ে যাবে এবং ৬৫ ভাগ শিক্ষার্থী যারা এখন প্রাথমিক শিক্ষায় আছে তারা কর্মজগতে প্রবেশ করে যে কাজ করবে তা এখনো অজানা। ভবিষ্যতের জীবন ও জীবিকার জন্য প্রচলিত পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা সম্ভব নয় বরং রূপান্তরযোগ্য দক্ষতা ও যোগ্যতায় শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলাই হচ্ছে লক্ষ্য। নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের ক্লাসের চেয়ে কাজকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিখবে। ক্লাসের পড়া ক্লাসেই তৈরি করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!