1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
মজুরি বৈষম্যের শিকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরা ॥ সমতা চান নারী শ্রমিকরা - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভোলাহাটে হাট-বাজারে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে টোল আদায়ের অভিযোগ ডিএনসি’র বিশেষ অভিযানে ৭১ জন শীর্ষ মাদক কারবারি-সহ গ্রেফতার ৮৪৬ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে ৫৯ বিজিবির মতবিনিময় সভা যারা ছাত্র-জনতার রক্ত দিয়ে খেলা করেছে-তাদের বিচার ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়-রিজভী শিবগঞ্জে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ শিবগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজে নতুন সভাপতি রাবির ড. আরিফ চাঁপাইনবাবগঞ্জে বন্যা কবলিত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কক্সবাজারে সেনা কর্মকর্তা হত্যা মামলার আরও দুই আসামি গ্রেপ্তার আন্দোলনে একক কোনো নেতৃত্ব ছিল না- নাহিদ ইসলাম

মজুরি বৈষম্যের শিকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরা ॥ সমতা চান নারী শ্রমিকরা

♦ বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৫ মে, ২০২২
  • ১৯৩ বার পঠিত

মজুরি বৈষম্যের শিকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরা ॥ সমতা চান নারী শ্রমিকরা

মজুরি বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের নারী শ্রমিকরা। দশকের পর দশক চলছে এ প্রথা। কৃষি জমিতে সমান কাজ করলেও নারীদের মজুরি পেতে হয় পুরুষের চেয়ে অনেক কম। অভাবের তাড়নায় প্রতিদিন কম মূল্যে শ্রম দিচ্ছেন ওই নারীরা। এই বৈষম্য দূর করে সমতা চান জেলার নারী শ্রমিকরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিমের বিল বৈলঠা গ্রামের মালতি মুর্মু (৬৩) কৃষি জমিতে কাজ করেন। তিনি বলেন, শুরু থেকেই এই বৈষম্য দেখে আসছি। কোনো উপায় না থাকায় বাধ্য হয়েই জীবিকার প্রয়োজনে আমাদের অন্যের জমিতে কাজ করতে হয়। বিভিন্ন বাগান ও নার্সারিতে কর্মরত নারীদের দেয়া হচ্ছে ২৫০ টাকা করে, যেখানে পুরুষ শ্রমিকরা পাচ্ছেন ৩০০ টাকা।

বৈলঠা গ্রামের কোল সম্প্রদায়ের ৪৪ বছর বয়সী নিরাসি টুডু। তিনি ১৩ বছর থেকে কাজ করেন কৃষি জমিতে। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি মজুরি বৈষম্যের শিকার। তিনি বলেন, সাধারনত কাজ পাওয়া যায়না, যখন কাজ পাওয়া যায় তখন কাজ করি। নারীদের ২৫০ টাকা, আর পুরুষ শ্রমিকদের ৩০০ টাকা করে দৈনিক মজুরি দেয়া হয়। সমান কাজ করলেও নারীদের মজুরী কম। পেটের দায়ে এই বৈষম্য মেনে নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। মরিণ একটি নার্সরীতে কাজ করেন। স্বামি হারিয়ে পরিবারে উপর্জনের আর কেউ নেই। অভাবের কারণে বাধ্য হয়েই অন্যের জমিতে কাজ করতে হচ্ছে। দৈনিক কাজ করে টাকা ২৫০ টাকা পাই। পুরুষের চেয়ে ৫০ টাকা কম পেলেও কিছু করার নেই। এক নার্সারির মালিক আবুল কাসেম বলেন, নারীরা কৃষি-কাজে বেশ পারদর্শী।

তারা চারা লাগানোর পর তা ভালো করে পরিচর্যা করতে পারেন। পুরুষরা পায় ৩০০ টাকা এবং নারীরা পায় ২৫০ টাকা। এখানে যেটা প্রচলন, সেটায় তাদের দেয়া হয়। ওই এলাকার এক শিক্ষক সারদা রানী হাসদা বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বিলবৈলঠা, চটিগ্রাম, চাত্রা, ফিল্ডিপাড়া ও বৈলঠা গ্রামে প্রায় ৩০০ এবং রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবুডাইং ও শান্তিপাড়া গ্রামে প্রায় ২০০ কোল রিবার বসবাস করে। প্রায় সব নারী শ্রমিক হিসেবে অন্যের জমিতে কাজ করেন। দীর্ঘদিন থেকেই তারা মজুরি বৈষম্যের শিকার। এর একটা সমাধান হওয়া প্রয়োজন।
উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি হিংগু মুর্মু বলেন, জেলায় সাঁওতাল, ওরাঁও ও কোলসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রায় এক লাখ মানুষ চাঁপাইনবাবগঞ্জে বসবাস করেন। এই সব সম্প্রদায়ের নারীরা জমিতে কাজ করেন, তারা কাজে ফাঁকি দেন না এবং দক্ষ। তারপরও নারী শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাঃ সাহিদা আখতার বলেন, ‘লিঙ্গ বৈষম্য না কমলে, মজুরি বৈষম্যও কমবে না। নারীরা অনেক এগিয়েছে। তবে, মজুরি বৈষম্য এখন আগের চেয়ে অনেক কমেছে। আশা করছি ভবিষ্যতে মজুরি বৈষম্য কমবে। তিনি বলেন, এক সময় হয়তো নারী-পুরুষ শ্রমিকদের মাঝে কোন মজুরী বৈষম্যই থাকবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!