চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের দুধ বিক্রেতা মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মতিউর রহমানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার ঘটনার রহস্য আজও উদঘাটিত হয়নি। বিষয়টির কোন অগ্রগতিও নেই। ঘটনার সাত মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও পুলিশ কিছুই জানাতে পারেনি। দীর্ঘ সময়ে মামলার অগ্রগতি না থাকায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। তবে, পুলিশের দাবী, শীঘ্রই এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন হবে। জানা গেছে, গত বছরের ২০ এপ্রিল উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের আসানপুর গ্রামের পাশের গ্রামের দুধ দোহন করতে গেলে বাড়ি ফেরার পথে পাশের একটি বিলের মধ্যে খাড়ির পাশ দিয়ে আসার সময় কে বা কাহারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে খালের পাশে ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয় সুত্র জানায়, একই ইউনিয়নের পাশের গ্রামের রাসেল, আলমগীর, রিপন ও আমিনুর ওই দিন মাঠে ছিল। তাদের ভাষ্যমতে তারা সেখানে মধু আহরণ করতে ওই দিন গিয়েছিল। বৃষ্টির মধ্যে তাদের মাঠ থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় তারা ফেরার পথে মতিকে রক্তাক্ত অবস্থায় খাড়ির পাশে দেখে মতির পরিবারকে খবর দেই। মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী সাথী বেগম ক্ষোভ এবং হতাশা নিয়ে জানান, এতোদিন হয়ে গেল, কিন্তু আমার স্বামীকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে, তা জানতে পারলাম না। শত্রুর হাত থেকে বাঁচতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন পার করছি। পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার পরেও তারা হত্যাকাণ্ডের কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি। ঘটনায় আরো জানা গেছে, এ মামলার ২ মাস তদন্তের দায়িত্বে গোমস্তাপুর থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম রেজা, ৩ মাস চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিআইডির উপ-পরিদর্শক ফজলুর রহমান ও পরবর্তীতে সিআইডির উপ-পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির উপ-পরিদর্শক চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোলাম মোস্তফা জানান, গত দেড়/দুইমাস থেকে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব আমি পেয়েছি। এরপূর্বে গোমস্তাপুর থানা মামলাটি তদন্ত করছিল। এখনো পর্যন্ত আমরা সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না পাওয়ায় কাউকে আটক করতে পারছিনা। তবে আমাদের টার্গেটে কয়েকজন আছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলেই মামলার দ্রুত অগ্রগতি হবে।