নাটোরের বড়াইগ্রামে ওমান প্রবাসী আইয়ুব আলীর বাড়ীর উঠোনে প্রায় ১০ ফিট মাটি খুড়ে শাহীন হোসেন নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় প্রবাসী আইয়ুব আলীর স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ও ছেলে ইমনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার জলন্দা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত শাহীন হোসেন নাটোর সদর উপজেলার গাঁওপাড়া ঢালান গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে নাটোর কোটের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাজীব সরকারের মুহুরী হিসেবে কাজ করতেন। নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, গত ৯ আগষ্ট নাটোর সদর থানায় শাহীন হোসেন নামে এক যুবক নিখোঁজের জিডি করেন তার বাবা মোজাহার আলী। এরপর শাহীন হোসেনের মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রাবাসী আইয়ুব আলীর বাড়ীতে তার ফোন বন্ধ হওয়ার তথ্য পায় পুলিশ। পরে সেখানে গোয়েন্দা নজরদারীতে তথ্য সংগ্রহ করে জানাতে পারেন শাহীন হোসেনের সাথে প্রবাসীর স্ত্রী হোসনেআরার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সেই তথ্যমতে হোসনেআরার বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বাড়ীর উঠনে টিউবয়েলের পাশে ১০ ফিট মাটি গর্ত খুড়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি প্রাথমিক সুরৎহাল প্রতিবেদন শেষে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারনা পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে শাহীনকে হত্যার পর মাটিতে পুতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নাটোর সদর থানায় দায়েরকৃত নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরীটিই মামলা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।