জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল মামুদপুর ইউনিয়নের সমন্তাহার গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে ইছাশাহা (১৪) নামে এক শিশুকে ১৯ জুন ২৩ শে বলাৎকারের ঘটনা ঘটে। এনিয়ে ভিকটিমমের বাবা আনিসুর রহমান বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-এ মামলা করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)তে পাঠান। তাদের পনের কর্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু ১৫ কার্যদিবসের স্থলে প্রায় ৯ মাস পার হলেও অজানা কারনে পিবিআই আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করেনি। অভিযুক্তরা হলেন, জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল থানার সমন্তানহার গ্রামের মৈয়ম শেরকোল গ্রামের মালেকুল ইসলামের ছেলে রবিউল (১৯) অফিরুদ্দিনের ছেলে কেকা (২৩) সাইফুল ইসলাম এর ছেলে স্বাধীন (১৮)। এজাহার থেকে জানা গেছে, ভিকটিম একজন অটিজম মানসিক প্রতিবন্ধী। ১৯ জুন ২০২৩ আসামিদের পরিকল্পনা মাফিক ইছাশাহাকে বাড়ির পাশে বিভিন্ন কথা বলিয়া ফুসলিয়া মাঠের গভীর নলকুবের ঘরের মধ্যে লইয়া ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পায়ু পথে বলাৎকার করে। একে একে পর্যায়ক্রমে ভিকটিম কে একাধিকবার বলাৎকারও (ধর্ষণ) করার পর ঘটনারস্থল থেকে চলে যায়। ভিকটিম কান্নাকাটি করিয়া বাড়িতে এসে মাসহ পরিবারের লোকজন কে ঘটনাটি জানায়। উপায়ান্তর না পেয়ে গত ১৪ জুলাই ২৩ তারিখে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে আসে। ভিক্টিম ইছাশাহার বাবা আনিসুর রহমান বলেন, ন্যায় বিচারের আশায় ৯ মাস যাবত অপেক্ষা করছি। এর মধ্যে আমার বাচ্চাটা গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে, অর্থের অভাবে আমি তার চিকিৎসা করতে পারছি না। পায়ু পথে ইনফেকশন (ঘা) হয়েছে। ওই স্থানে সব সময় বাচ্চাটা জালা যন্ত্রণায় ও ছটফট করে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমার প্রতিবন্ধী সন্তানটি উপর যারা নির্যাতন করেছে, তাদের যেন দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসে। গত ২২শে জুন সারেজমিনে গিয়ে অভিযুক্তদের মুঠো ফোন ও বাড়িতে গিয়ে তাদের সাক্ষাৎ বা বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য সামাদ মন্ডল বলেন, এরকম একটি বিষয়ে ওই ছেলের মা সহ-অভিভাবকরা আমার কাছে এসেছিল। মীমাংসার কথা শুনেছিলাম। আমি তাদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। পরে শুনেছি ওই ছেলের বাবা আদালতে মামলা করেছে। তারা যেন ন্যায় বিচার পায়। এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) শরিফ ইসলাম বলেন, তদন্ত শেষ হয়েছে। আমি মেডিকেলে তিন দিন গিয়েছিলাম রিপোর্ট এখনো হাতে পাইনি, প্রতিবেদনটি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দাখিল করা হবে।