বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্মসূচিতে হামলা, আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার, ককটেল নিক্ষেপ ও পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে জয়পুরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জয়পুরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদুসহ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, সাবেক মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানদের অভিযুক্ত করে ৩২৮ জন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। মামলায় আরও ৩৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। জয়পুরহাট সদর উপজেলার থিয়ট গ্রামের সিদ্দিক শেখের ছেলে ও জয়পুরহাট বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিনকুল হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন জয়পুরহাট সদর থানার ওসি হুমায়ূন কবির।
এ মামলার সাবেক দুই সংসদ সদস্য ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল, সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র আব্দুল আজিজ মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম সোলায়মান আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জয়পুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তফিজুর রহমান মোস্তাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর, সমাজকল্যণ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদ হোসেন হিমু, জয়পুরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কালীচরন আগরওয়ালা, কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কালাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মিঠু, ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া সরদার, সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল, আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোকছেদ আলী মাস্টার, পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাবেকুন নাহার শিখা, সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল শহীদ মুন্না, পাঁচবিবি পৌরসভার সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব, আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদুল আলম চৌধুরী, ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম, সাবেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের ভাই আবু সাঈদ আল মাহবুব চন্দন ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রাসেল দেওয়ান মিলন। মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে দুপুর দেড়টার দিকে শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে বাটার মোড়ে পৌঁছালে সাবেক এমপি স্বপন ও দুদুর নেতৃত্বে এজাহার নামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০০ থেকে ৩৫০ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত আক্রমণ করে। সে সময় আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার, পেট্রল বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করে। এসময় বাদীর ডান চোখ গুলিবিদ্ধ হয়। জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ূন কবির বলেন, শিক্ষার্থী মিনকুল হোসেন বাদী হয়ে ৩২৮ জনকে আসামি করে মামলা দিয়েছেন। মামলা এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।