চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় পহেলা জুলাই/২২ থেকে ২৩ অক্টোবর/২২ পর্যন্ত ২৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছে। বাকী ৮ জনের মধ্যে ৭ জন জেলা হাসপাতালে এবং একজন গোমস্তাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় সর্বাধিক ১৭ জন, ভোলাহাট উপজেলায় ছয়জন এবং গোমস্তাপুর উপজেলায় ২জন ডেঙ্গুরোগী ধরা পড়ে। সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ রবিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে প্রতিবেদক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় সদর উপজেলায় ৩ জন এবং গোমস্তাপুর উপজেলায় একজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। সিভিল সার্জন জানান, জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেনি, তবে সচেতনতা বৃদ্ধি না করলে ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি। শনাক্ত ডেঙ্গু রোগীরা জেলায় আক্রান্ত হয়েছে নাকি বাইরে আক্রান্ত হয়ে জেলায় এসেছে-প্রতিবেদকের এ প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন সদুত্তর দিতে না পারলেও পাশে বসে থাকা গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সেলিম রেজা জানান, গোমস্তাপুর উপজেলায় আক্রান্ত ২ জনের মধ্যে একজন ঢাকা হতে এবং অন্যজন রাজশাহী হতে ফিরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ এসএম মাহমুদুর রশিদ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিস্কার পরিছন্নতা থাকা জরুরী। ডেঙ্গু বহনকারী এডিশ মশা যাতে ডিম পেড়ে বংশ বিস্তার না করতে পারে সেজন্য কোন পাত্রে যেন তিনদিনের বেশী পানি জমা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ডাবের খোসা, এসির পানি, ফুলের টব, পরিত্যাক্ত টায়ারে যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর জ্বর হলে এবং মাত্রা না কমলে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে এসে পরীক্ষা করাতে হবে। তিনি বলেন, তীব্র আলোয় বা অন্ধকারে এডিশ মশা কামড় দেয়না। এরা হালকা আলোতে বের হয় এবং মানুষকে আক্রমন করে। তাই সকালে এবং সন্ধ্যার পর সাবধানে থাকতে বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, শহরে যারা রাতে জিরো বাল্ব জ্বালিয়ে রাখেন তাদেরেও আক্রমন করতে পারে এডিশ মশা। তাই সাবধানতা অবলম্বন করার পাশাপাশি মশারী ব্যবহারে মনোযোগী হবার আহবান জানান তিনি।