1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
ভোলাহাটে শ্রমিক সংকটে কৃষক ॥ ধান ঘরে তুলতে নানা কস্ট - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সাথে ‘চাঁপাই দর্পণ’ ও চ্যানেল আই পরিবার’র সৌজন্য সাক্ষাৎ সাবেক দুই আইজিপির বিরুদ্ধে হওয়া মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের আর যোগদান করতে দেওয়া হবে না-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কবি-সাংবাদিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরাও বিচারের আওতায় আসবে-উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের মানববন্ধন এবছর জেলায় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হামিদ র‌্যাবের অভিযানে ২ কেজি হেরোইনসহ এক ব্যবসায়ী আটক স্ত্রী’র চেক দিয়ে স্বামী’র বিভিন্ন স্থানে জালিয়াতি ॥ আদালতে ২৩টি চেক বাতিল ঠাকুরগাঁও সীমান্তে গরুর বদলে মানবপাচারে সক্রিয় চোরাকারবারি চক্র পিলখানায় হত্যাকান্ড, সদস্যদের পুনঃবহাল ও কারাবন্দী সদস্যদের মুক্তির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

ভোলাহাটে শ্রমিক সংকটে কৃষক ॥ ধান ঘরে তুলতে নানা কস্ট

♦ নিজস্ব প্রতিনিধি 
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২
  • ১৮৮ বার পঠিত

ভোলাহাটে শ্রমিক সংকটে কৃষক ॥ ধান ঘরে তুলতে নানা কস্ট

ভরপুর ইরি-বোরো ধান খাটার সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় চলছে বোরো ধান কাটা-মাড়াই। তবে দেখা দিয়েছে চরম শ্রমিক সংকট। অতিরিক্ত ধান বা টাকা দিয়েও ধান কাটা ও মাড়াইয়ের শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চাষিরা। এদিকে ঈদের আগে ও পরে বয়ে যাওয়া ঝড়ো হাওয়া ও বৃস্টিতে মাঠের পাকা ধানের ক্ষতি হয়েছে। এ ধান এখন ঘরে তুলতে কৃষক পড়েছেন নানা কস্টে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর ৬ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ৬৩২ মেঃটন। ধান কাটা শুরু হয়েছে এক সপ্তাহ ধরেই। তবে কয়েকজন চাষি জানিয়েছেন, এবার ধানের ফলন ভালো হলেও শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। বরেন্দ্র এলাকায় ধানের উৎপাদন বেশি হওয়ায় শ্রমিকেরা নিজ উপজেলা বাদ দিয়ে বেশী আয়ের আশায় বরেন্দ্র অঞ্চলে চলে গেছেন। ফলে বেকায়দায় ভোলাহাটের বোরো চাষিরা। বিলভাতিয়ায় গিয়ে দেখা গেছে শ্রমিক না পেয়ে নিজ জমিতেই ধান কাটছেন শহিদুল ইসলাম। তিনি ক্ষাভের সাথে জানান, তিনি একজন ইলেক্টিসিয়ান হবার পরও শ্রমিক না পেয়ে বাধ্য হয়ে নিজেই ধান কাটতে আরম্ভ করেছেন। তিনি জানান, এবার নিজের ১২ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন তিনি। কিন্তু শ্রমিক না পেয়ে দোকান বন্ধ রেখে আত্মীয়-স্বজন ও ভাইকে নিয়ে ধান কাটছেন। ধান মাড়াইয়ের কাজটিও তাদের করতে হবে। আরেক কৃষক ইউপি সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, এবার ধানের ফলন ভালো তবে কিছু জমির ধান পোকার আক্রমনে ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকেরা বেশী আয়ের আশায় বরেন্দ্র অঞ্চলে ধান কাটতে চলে গেছে। আগে ছয়-সাতজন শ্রমিক এক বিঘা ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ করে দিলে প্রায় আড়াই মন ধান দিতে হতো। এবার শ্রমিকেরা সাড়ে চার মণ চাচ্ছে। তাও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ধানের বদলে টাকা দিলে একজন শ্রমিককে এখন এক বেলার জন্যই দিতে হচ্ছে ৭’শ টাকা। গতবছর শ্রমিকের পারিশ্রমিক কম ছিল। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সুলতান আলী ধান কাটা কে কঠিন কাজ হিসেবে চিহ্নিত করে জানান, শ্রমিকেরা এসব কঠিন কাজ থেকে সহজ কাজে ঝুঁকে পরছেন। তাছাড়া বেশিরভাগ শ্রমিক বরেন্দ্র এলাকায় ধান কাটতে চলে যায়। এতে করে ভোলাহাটে শ্রমিক সংকট হয়েছে। ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য সরকার ভূর্তুকি দিয়ে আধুনিক যন্ত্র দিচ্ছেন। এসব যন্ত্র ব্যবহার করলে শ্রমিক সংকট দুর হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!