1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
এবার জি.আই স্বীকৃতি পেল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গণঅভ্যুত্থানে পলাতক বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিনের অরাজকতা আর নয় নতুন ইটভাটা ॥ বন্ধ হচ্ছে দেশের ৩৪৯১টি ইট ভাটা-পরিবেশ উপদেষ্টা নিউইয়র্কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. ইউনূস হবিগঞ্জে মানহানি মামলায় খালাস তারেক রহমান সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার-কারাগারে প্রেরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পুরস্কার বিতরণ পঞ্চগড় সীমান্তে বিজিবির স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প ও মতবিনিময় সভা পোরশা ঘাটনগরে মাদক নির্মূলে সমাবেশ গোদাগাড়ীতে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক হলেন সিপিডির ফাহমিদা খাতুন

এবার জি.আই স্বীকৃতি পেল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০২৩
  • ১৩৮ বার পঠিত

জিআই পণ্য খিরসাপাত ও ফজলি আম

এবার জি.আই স্বীকৃতি পেল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম

ভৌগোলিক নির্দেশক (জি.আই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনাসহ চারটি পণ্য। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান প্যাটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) ২৫ জুনের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। জিআই স্বীকৃতি পাওয়া অন্য পণ্যগুলো হলো শেরপুরের তুলসীমালা ধান এবং বগুড়ার দই। এর আগে খিরশাপাত এবং রাজশাহীর সাথে যৌথভাবে ফজলি আম স্বীকৃতি পেয়েছে। এ নিয়ে দেশের ১৫টি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেল। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান প্যাটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আঞ্চলিক উদ্যোনতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই শেষে ২৫ জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা সহ ৪টি পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং ঐদিনই আম ২টির পক্ষে জি আই সনদ ইস্যু করা হয়। অনুমোদন পাওয়া এসব পন্যের পক্ষে আবেদনকারীদের ডেকে দ্রুত সনদ বুঝিয়ে দেয়া হবে।

আঞ্চলিক উদ্যোনতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র সুত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ডিপিডিটিতে ল্যাংড়া ও আশ্বিনা কে জিআই পণ্য করার জন্য আবেদন করে আঞ্চলিক উদ্যোনতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পক্ষে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। আবেদনের প্রায় সাড়ে চার বছর পর ফল ২টির জি আই সনদ প্রাপ্তির জন্য গত ২২ জুন পন্য দুটির বিপরীতে ৬ হাজার টাকা ব্যাংক ড্রাফট করা হয়।
এ ব্যাপারে আঞ্চলিক উদ্যোনতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকতা মোখলেসুর রহমান জানান, সদ্য স্বীকৃতি পাওয়া ২ টি জাতের সহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ টি জাতের আম স্বীকৃতি পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর পাশাপাশি আমরাও আনন্দিত। ‘যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাঠানো আমের স্বাদ পেলেও এখন বানিজ্যিকভাবে বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে এখন থেকে স্বীকৃতি পাবে। জিআই পণ্যের মর্যাদা পাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে রপ্তানির সুযোগও তৈরি হলো। এতে করে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে, অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষীরা আমের নায্য মূল্য পাবে। তবে এ ক্ষেত্রে জি আই ট্যাগ পণ্যের গায়ে যেন দ্রুত লাগানো যায় তার ব্যবস্থাও করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জি আই সনদ পাওয়া ৪ টি জাতের আমের জাত দ্রুত আরও বেশি পরিসরে সম্প্রসারনের উদ্যোগ নিবে এ গবেষণা কন্দ্রে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ও ফজলি আমের জি আই সনদ দাবীর পক্ষে আবেদনকারী মুনজের আলম মানিক জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বিদেশের পাশাপাশি দেশজুড়েও সুনাম রয়েছে। স্বাদ, গন্ধ ও সব মিলিয়ে এ জেলার আমের স্বতন্ত্র বৈশিষ্টের কারনেই ৪ জাতের আমের জি আই সনদ মেলায় আমরা গর্বিত। তবে ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারী খিরসাপাত আম এবং গত বছরের ২২ মার্চ যৌথভাবে ফজলি আম জি আই সনদ পাওয়ায় পরও জি আই ট্যাগ থেকে বঞ্চিত আমচাষীরা। নতুন করে আরও ২টি জাতের আম জি আই স্বীকৃতি পেল। তাই দ্রুত এ ৪ জাতের আমে ট্যাগ লাগানোর ব্যবস্থা হলে আমের গুরুত্ব আর্ন্তজাতিকভাবে যেমন বাড়বে, কৃষকও তেমনি লাভবান হবে। সেসাথে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহি আদি চমচম, দম মিষ্টিসহ ঐতিহ্যবাহি পন্যগুলোও স্বীকৃতির জন্য আবেদন করতে হবে।
আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ডিপিডিটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে। ২০১৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন হয়। ২০১৫ সালে আইনের বিধিমালা তৈরির পর জিআই পণ্যের নিবন্ধন নিতে আহ্বান জানায় ডিপিডিটি। এর পর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিআই পণ্য হিসেবে ২০১৬ সালে স্বীকৃতি পায় জামদানি। এর পর একে একে স্বীকৃতি পেয়েছে ইলিশ, ক্ষীরশাপাতি আম, মসলিন, বাগদা চিংড়ি, কালিজিরা চাল, বিজয়পুরের সাদা মাটি, রাজশাহী সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম। নতুন করে এ তালিকায় যুক্ত হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২ জাতের আমসহ চার পণ্য। এখন থেকে পণ্যগুলো বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাবে।
আঞ্চলিক উদ্যোনতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র সুত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ডিপিডিটিতে ল্যাংড়া ও আশ্বিনা কে জিআই পণ্য করার জন্য আবেদন করে আঞ্চলিক উদ্যোনতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পক্ষে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। আবেদনের প্রায় সাড়ে চার বছর পর ফল ২টির জি আই সনদ প্রাপ্তির জন্য গত ২২ জুন পন্য দুটির বিপরীতে ৬ হাজার টাকা ব্যাংকড্রাফট করা হয়।
এ ব্যাপারে আঞ্চলিক উদ্যোনতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকতা মোখলেসুর রহমান জানান, সদ্য স্বীকৃতি পাওয়া ২টি জাতের সহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪টি জাতের আম স্বীকৃতি পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর পাশাপাশি আমরাও আনন্দিত। ‘যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাঠানো আমের স্বাদ পেলেও এখন বানিজ্যিকভাবে বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে এখন থেকে স্বীকৃতি পাবে। জিআই পণ্যের মর্যাদা পাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে রপ্তানির সুযোগও তৈরি হলো। এতে করে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে, অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষীরা আমের নায্য মূল্য পাবে। তবে এ ক্ষেত্রে জি আই ট্যাগ পণ্যের গায়ে যেন দ্রুত লাগানো যায় তার ব্যবস্থাও করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জি আই সনদ পাওয়া ৪ টি জাতের আমের জাত দ্রুত আরও বেশি পরিসরে সম্প্রসারনের উদ্যোগ নিবে এ গবেষণা কেন্দ্র।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!