চাঁপাইনবাবগঞ্জে অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সদর উপজেলার চরঅনুপনগর ইউনিয়নের স্কুলপাড়া গ্রামের মৃত আঃ মালেকের ছেলে টিপু সুলতান নামে এক যুবককে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় উদ্ধার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় অপহরণ কারী আপন দুই ভাই কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৯ জুলাই রোববার রাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার স্ল্ইুচগেট থেকে অপহৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়। এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরঅনুপনগর ইউনিয়নের স্কুলপাড়া গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে আলমগীর হোসেন(৩১) ও শামীম হোসেন(২৫) নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
জানা গেছে, শনিবার (৮ জুলাই) অনুমান রাত সাড়ে ১০টার দিকে কনস্ট্রেকশন কাজের লেবারের সহীত কথা বলার উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি হতে পায়ে হেঁটে ভগবতীতলা মোড়ে যাওয়ার পথে পথী মধ্যে সদর মডেল থানাধীন অনুপনগর ইউনিয়রের চরঅনুপনগর গ্রামস্থ আসামী আজিজুল এর গরু খামারের সামনে পৌঁছা মাত্র ভিকটিম টিপু সুলতানের পথরোধ করে অত্র মামলার ০৩ নং আসামী নজরুল ইসলামের হুকুমে অন্যান্য আসামীগণ টিপু সুলতানকে জোর পূর্বক অপহরণ করিয়া মোটরসাইকেল যোগে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার স্ল্ইুচগেট হয়ে কাঁকন রাস্তার দিকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে টিপু সুলতানের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ০১৩১৮৮২৬৮৩৭ হতে বাদী ঝর্ণা বেগমের ব্যবহৃত মোবাইল ০১৭২৫০৬৯৩২৭ নম্বরে ফোন করিয়া বাদী ঝর্ণা বেগমকে ০৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ প্রদান না করিলে ভিকটিম টিপু সুলতানকে প্রাণে শেষ করিয়া ফেলিবে বলিয়া হুমকি প্রদান করে আসামী আলমগীর।
এরপর থেকে টিপু সুলতানের কোন খোঁজ না পাওয়াই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দেন তার মা ঝর্ণা বেগম। ঝর্ণা বেগম জানান, আমার ছেলে অনুমান রাত সাড়ে ১০টার দিকে কনস্ট্রেকশন কাজের লেবারের সহীত কথা বলার উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি হতে পায়ে হেঁটে ভগবতীতলা মোড়ে যায় এবং সেখান থেকে নিখোঁজ হয় তার ছেলে। তিনি আরও জানান, টাকা না দিলে তার ছেলে টিপু সুলতানকে প্রাণে শেষ করার হুমকিও দেয় অপহরণকারীরা। পরে বিষয়টি ঝর্ণা বেগম পুলিশকে অবগত করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ভিকটিম টিপু সুলতানকে উদ্ধারে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের একধিক টিম সকাল থেকে ভিকটিম উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালায়। পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা অভিযানিক দলকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেন। অপহরণকারিরা অসংখ্যবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেন। সর্বশেষে গোদাগাড়ি উপজেলার স্লুইচগেট এলাকায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালানো হয়। সেখানেই ভিকটিম টিপু সুলতান, অপহরণকারী আলমগীর ও শামীমকে পাওয়া যায়। ওসি সাজ্জাদ হোসেন আরও জানান, এ ঘটনায় রাতে মামলা হয়েছে এ মামলায় মোট ০৫ জন এজাহার ভুক্তসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করা হয় যাহার মামলা নং-১৬ তারিখ ১০/০৭/২০২৩ইং। অপরহণের এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না সেই বিষয়টি জানতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডের আবেদন চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।