আজ বরেণ্য নাট্যকার অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ভারতের মালদহ জেলায় জন্মগ্রহন করলেও পরে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাটে বসবাস করতেন। মমতাজউদদীন আহমদ ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি নাট্যকার, অভিনেতা ও ভাষা সৈনিক। তিনি স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ যিনি এক অঙ্কের নাটক লেখায় বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ১৯৯৭ সালে একুশে পদক লাভ করেন। অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভোলাহাট উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক রাব্বুল হোসেন এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাবর আলী বিশ্বাস। তাঁরা বলেন, অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদের অবদান জাতি কোনোদিন ভুলবেনা। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক রাব্বুল হোসেন বলেন, তিনি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের গণতন্ত্র, শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমরণ কাজ করে গেছেন। তিনি আমাদের মাঝে থাকবে চিরঅম্লান। দেশবরেণ্য এই মহামানব কে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে ভোলাহাট উপজেলাবাসী। বরেণ্য নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা মমতাজউদ্দীন আহমদ ২০১৯ সালের ২ জুন রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা যান। ৩ জুুুন রাতে তাঁর ইচ্ছে অনুুযায়ী পারিবারিক কবরস্থানে বাবার পাশেই তাঁকে শায়িত করা হয়। উল্লেখ্য, তিনি ১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারী ভারতের মালদহ জেলায় জন্মগ্রহন করেন।