দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আরিফা খাতুন (৩২) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগে ও ওই গৃহবধুর স্বামী ও শাশুড়ীকে আটক করেছে পুলিশ। পৌর এলাকার মধ্য চকচকা গ্রামে এ লোমহর্ষক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধু আরিফা খাতুনের পিতা ছাইদুল ইসলাম বাদি হয়ে শনিবার সকালে ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। নিহত গৃহবধু আরিফা খাতুন চকচকা গ্রামের সাইদুল ইসলামের স্ত্রী ও চিরিরবন্দর উপজেলার কেশবপুর গ্রামের ছাইদুল ইসলামের মেয়ে। পুলিশের হাতে আটক চকচকা গ্রামের মৃত ময়েজ দ্দিনের ছেলে নিহত আরিফা খাতুর স্বামী সাইদুল ইসলাম (৩৮) ও মৃত ময়েজ উদ্দিনের স্ত্রী নিহত আরিফা খাতুনের শাশুড়ী জাহেদা বেগম (৫৭)। শনিবার সকালে তাদের নিজ বাড়ী থেকে আটক করা হয়।
নিহত গৃহবধুর পিতা ছাইদুল ইসলাম বলেন গত ৭ বছর পূর্বে তার মেয়ে আরিফা খাতুনের সাথে চকচকা গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে সাইদুল ইসলামের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়, বিয়ের পর থেকে সাইদুল ইসলাম ও তার মা জাহেদা বেগম যৌতুকের দাবীতে আরিফা খাতুনকে শারিরিক ও মানুষিক ভাবে নির্যাতন করে আসচ্ছে। এরেমধ্যে চলতি জুন মাসের ১২ তারিখে আরিফা খাতুনকে বেদম মারপিট করে, এতে আরিফা খাতুনের পেটে ও কমরে প্রচন্ড আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়। এরপর তিনি খবর পেয়ে তার মেয়ে আরিফা খাতুনকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ওইদিন রাতে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার(১৫জুন) দিবাগত রাত ১টায় আরিফা খাতুনের মৃত্যু হয়। আরিফা খাতুন চার বছর বয়সী একটি ছেলে ও এক বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। ফুলবাড়ী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত গৃহবধুর পিতার দায়েরকৃত এজাহারের ভিত্তিতে নিহত গৃহবধুর স্বামী ও শাশুড়ীকে আটক করা হয়েছে।