নাটোরে প্রিপেইড মিটার অপসারণসহ ৯ দফা দাবিতে জেলার বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা নেসকোর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন ছাত্র-জনতা। মঙ্গলবার শহরের হাফরাস্তা এলাকায় কার্যালয়টি প্রায় দেড় ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয়। পরে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার বাতিল, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল, সার্ভিস ও ডিমান্ড চার্জ কমানো, অভিযোগ কেন্দ্রে সমাধান না পাওয়াসহ নয় দফা দাবিতে নেসকোর স্থানীয় বিক্রয় ও বিপনন কার্যালয়টি ঘেরাও করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও জনতা। এ সময় নেসকোর নানা অনিয়ম নিয়ে শ্লোগান দেন তারা।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমন্বয়কদের নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। পরে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করে সমাধানের আশ্বাস দেন নেসকোর কর্মকর্তারা। তাদের আশ্বাসে কর্মসূচি আপাতত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হলে এই প্রতিবাদ কর্মসুচি চলমান থাকবে। নাটোর নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী বিশাল আগরওয়ালা বলেন, বেশকিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে ছাত্র-জনতা নেসকো অফিসে এসেছিলেন। সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আলাপ করেছি। এক নম্বর যে দাবিটা, প্রি-পেইড মিটার বাতিল করতে হবে, এই সিদ্ধান্তটা আমি দিতে পারি না। সিদ্ধান্তটা আমার অথরিটি বা বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে আসতে হবে। ছাত্র-জনতার কিছু কনফিউশান ছিলো, যেগুলো আলাপ আলোচনা করে আমি ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেছি। তারপরও আমরা সমস্যাগুলো জরিপ করে কিভাবে সেগুলো সমাধান করা যায়, অথরিটির সঙ্গে কথা বলে বিদ্যুৎ বিভাগে আবেদন করে দ্রুত সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করবো।