বন্যা পরবর্তীতে ফেনীতে পানি বাহিত রোগ ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগের প্রকোপ বেড়েছে। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৮ বেডের বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ১১৮ জন এবং ২৬ বেডের বিপরীতে রয়েছেন ৪৬ জন রোগী। বেড না পেয়ে মেঝেতে বারান্দায় চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে রোগীদের। এদিকে জেলা সদর হাসপাতালে পর্যাপ্ত জনবল ও একমাত্র লিফটটি বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের। রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে চিকিৎসকগণ।
সরজিমনে জানা গেছে, ডায়রিয়া ও বমির চিকিৎসা সেবা নিতে মো: জহির তার ছেলেকে নিয়ে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রাম থেকে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আসেন। রোগী ভর্তি করেছেন কিন্তু ভালো হতে সময় লাগবে। হাসপাতালের নিচতলায় ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীদের থাকার সংকুলান না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ রোগীদের নতুন ভবনের ছয় তলায় শিফট করেন। কিন্তু হাসপাতালের লিফট নষ্ট হওয়ায় রোগী নিয়ে ছয় তলায় উঠতে কষ্ট হচ্ছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ও স্বজনরা জানান, ডায়রিয়া ওয়ার্ডটি হাসপাতালের টপ ফ্লোর ছয় তলায় হওয়ায় এমনিতেই প্রচন্ড গরম। তার ওপর ফ্যানের সংখ্যা কম, গরমে খুব কষ্ট করতে হচ্ছে রোগীদের। অনেকটা নিরুপায় হয়ে থাকতে হচ্ছে। লিফট নষ্ট হওয়ায় ছয়তলা থেকে উঠা নামা করতেও সমস্যা হচ্ছে। ভক্সপপ: রোগীর স্বজন। ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: আবুল খায়ের মিয়াজী বলেন, বন্যা পরবর্তিতে ডায়রিয়া রোগীর প্রাদুর্ভাব ব্যপক হারে বেড়েছে। চর্ম ও নিউমনিয়া রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। চিকিৎসক ও নার্স প্রয়োজন। চাহিদা চেয়েছি, তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নিজস্ব সক্ষমতা ও সাহায্য নিয়ে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি। হাসপাতালের লিফ্টটা দীর্ঘদিন ধরে অকেজো। এমতাবস্থায় সংকটাপন্ন রোগী, বয়স্ক ও শিশু রোগী চিকিৎসা সেবা দিতে দুরহ হয়ে পড়েছে। রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে প্রয়োজনীয় জনবল, যন্ত্রপাতি ও ঔষধ সরবরাহসহ অন্তবর্তীকালীন সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমনটি আশা জেলাবাসীর।